Handicrafts

শিল্পীদের সুবিধায় সরস মেলা অন্য ধাঁচে

এবং একইসঙ্গে মেলায় বিক্রিবাটার জন্য শিল্পীদের থেকে কোনও  টাকাও নেওয়া হবে না বলেই দফতর সূত্রের খবর। এমন ব্যবস্থা এই প্রথম বলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে  জানানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ লকডাউনে বিভিন্ন পেশার মানুষের মতো এ রাজ্যের হস্তশিল্পীরাও চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। বাংলার সেই প্রান্তিক শিল্পীদের কথা মাথায় রেখেই এ বার ভিন্ন স্বাদের সরস মেলার আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর নিউ টাউন মেলা প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

দফতর সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মেলায় আগত শিল্পীদের জন্য নিখরচায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এবং একইসঙ্গে মেলায় বিক্রিবাটার জন্য শিল্পীদের থেকে কোনও টাকাও নেওয়া হবে না বলেই দফতর সূত্রের খবর। এমন ব্যবস্থা এই প্রথম বলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে জানানো হচ্ছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, শুধু এই রাজ্যই নয়, দেশের ১৫টি রাজ্য থেকে হস্তশিল্পীরা তাঁদের সম্ভার নিয়ে এই মেলায় আসবেন। সুব্রতবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলায় হস্তশিল্পীরা ভীষণ সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের দিশা দিতেই এ বার সরস মেলার স্টলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। যাতে বেশি করে শিল্পীরা কাজ এবং বিক্রির সুযোগ পান তার জন্যই এই ব্যবস্থা।”

বাঁকুড়ার টেরাকোটা, পুরুলিয়ার ছৌ নাচের মুখোশ, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল থেকে শুরু করে বাংলার প্রতিটি জেলার হস্তশিল্পীরা তাঁদের তৈরি শিল্পকাজ নিয়ে এসে মেলার স্টলে রাখতে পারবেন। মেলায় সব মিলিয়ে ২৮০টি স্টল থাকছে বলে জানানো হয়েছে।

থাকছে বাংলার বিভিন্ন জেলার খাবারের রকমারি লোভনীয় পদ। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষ আধিকারিক সৌম্যজিৎ দাস বলেন, “সুন্দরবনের মধু, পুরুলিয়ার ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট বা বাংলার কালো ছাগলের মাংস, ভেড়ার মাংস, সুন্দরবনের কাঁকড়ার রান্নার নানা পদ মেলার তিনটি ফুড কোর্টে মিলবে।”

পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে রাজ্যের ভিন্ন জেলায় সি এ ডি সি বা সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের খামার রয়েছে। ওই সমস্ত খামারে নানা প্রকার জৈব চাষ হয়। ভিন্ন প্রজাতির বাংলার চার রকমের চাল এই মেলায় থাকছে। বর্ধমান, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনায় তৈরি খেজুর গুড়, পাটালি, নলেন গুড়ের কেক, রসগোল্লা ইত্যাদিও থাকছে। মেলায় প্রতিদিন থাকছে নানা অনুষ্ঠান। ছোটদের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ় প্রতিযোগিতার আয়োজন মেলার দিনগুলিতে করা হবে। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “দীর্ঘ লকডাউনে শিশু-কিশোরেরা ঘরবন্দি রয়েছে। তাঁদের নিয়ে কোভিড সুরক্ষা মেনে অভিভাবকেরা আসতে পারবেন।” তবে মেলায় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই ছোট-বড় সকলকেই মাস্ক পরে আসতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement