—ফাইল চিত্র।
শহরের যে সমস্ত উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল, তার মধ্যে বাঘা যতীন উড়ালপুলের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সেই রিপোর্টে। ওই উড়ালপুলটি দ্রুত সারানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করল।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাঘা যতীন উড়ালপুলের মেরামতির জন্য কয়েক মাস আগেই অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছিল। লকডাউন ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা থাকায় সেই অর্থ বরাদ্দ সম্ভব হয়নি। অবশেষে রাজ্য সরকার ওই খাতে টাকা দেবে বলে জানিয়েছে। মেরামতির কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। ডিসেম্বর মাস থেকেই কাজ শুরু হওয়ার কথা।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই উড়ালপুলের দু’টি অংশ রয়েছে। একটি পূর্ব রেল এবং অন্যটি কেএমডিএ-র তৈরি করা। ২০১০ সালে কেএমডিএ নির্মিত অংশটিতেই সমস্যা ধরা পড়ে। সম্প্রতি রেলের নির্মিত অংশটি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এর পরেই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ রেলকে তাদের অংশটি নিয়ে সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে অনুরোধ করেন। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, রেল তাঁদের জানিয়েছে, ওই অংশে কোনও ত্রুটি নেই।
কেএমডিএ-র অংশটি ২০১০ সালে তৈরি হলেও ১০ বছরের মধ্যেই সেটির বেহাল দশা। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আগেই জানিয়েছিলেন, বাঘা যতীন উড়ালপুল কী ভাবে মেরামত করা হবে, তা সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটি ঠিক করবে। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, ওই উড়ালপুলটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণে নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছে।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উড়ালপুলের নীচে রেলের যে লেভেল ক্রসিং রয়েছে, তা যথেষ্ট প্রশস্ত না হওয়ায় সেখান দিয়ে গাড়ি একসঙ্গে যাওয়া-আসা করতে পারবে না। সেই কারণে বিকল্প হিসেবে ওই জায়গায় আরও একটি লেভেল ক্রসিং তৈরির প্রস্তাব রেলকে দেওয়া হয়েছিল। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন করে আরও একটি লেভেল ক্রসিং তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই ওই উড়ালপুল ভাঙা হলে গোটা রাস্তাই কার্যত বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আধুনিক পদ্ধতিতে উড়ালপুলটি না ভেঙে এবং রাস্তা বন্ধ না করেই সারাইয়ের কাজ করা হবে।