Durga Puja 2020

বিসর্জন নয়, লকডাউনের দলিল হিসেবে বড়িশার ‘পরিযায়ী উমা’কে সংরক্ষণ রাজ্যের

ত্রাণের আর্তি নিয়ে সপরিবারে মণ্ডপে উমা দাঁড়িয়ে। লকডাউনে এই ছবিই দেখা গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ২০:৪৫
Share:

বড়িশা ক্লাবে উমার এই মূর্তিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।— ফাইল চিত্র

বিসর্জন নয়, ঘর পাবে ‘পরিযায়ী উমা’। সরকারি তত্ত্বাবধানে সংরক্ষণ করা হবে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের বধূরূপে তৈরি বড়িশা ক্লাবের দুর্গা প্রতিমাকে। নবান্ন সূত্রে খবর, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকার ওই প্রতিমা সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। ভবিষ্যতে ওই প্রতিমাকে দেখা যেতে পারে কোনও রাস্তার মোড়ে শহরের একটি দ্রষ্টব্য হিসাবে।

Advertisement

বড়িশা ক্লাবের পুজোয় এ বছর দুর্গা প্রতিমা হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরণীরূপে। শিল্পী কৃষ্ণনগরের রিন্টু দাস। কোলে কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশের সঙ্গে মণ্ডপের মধ্যে উমা দাঁড়িয়ে ত্রাণের আর্তি নিয়ে। লকডাউনের সময় এই ছবিই দেখা গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রূঢ় সেই বাস্তবই শিল্পের আঙ্গিকে মাতৃপ্রতিমার মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছিলেন রিন্টু। চতুর্থীর দিন বড়িশার ওই পুজোর উদ্ধোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ধোধনের দিনই ওই প্রতিমা নজর কাড়ে তাঁর। তখনই তিনি সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

বড়িশার ওই পুজোর সভাপতি সুদীপ পোল্লে বলেন, ‘‘আমরা সরকারের কাছ থেকে এ রকম একটা প্রস্তাব পেয়েছি। কী ভাবে কোথায় সংরক্ষণ করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।” শিল্পী রিন্টুও জানেন সংরক্ষণ করা হবে তাঁর তৈরি প্রতিমা। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অত্যন্ত গর্বের এবং আনন্দের।” পুজো কমিটির অন্য এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে রবীন্দ্রসরোবরে রাখা হবে ওই প্রতিমা।” তবে নিউটাউনের ইকো পার্কেও জায়গা হতে পারে বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠা ওই প্রতিমার।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাল শাহের সঙ্গে বৈঠক ধনখড়ের, তার পর টানা এক মাস দার্জিলিঙে রাজ্যপাল

আরও পড়ুন: ডায়ালিসিস শুরু হচ্ছে সৌমিত্রর, অবস্থার আর অবনতি হয়নি, জানাল হাসপাতাল

সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিমের নগরোন্নয়ন দফতর। নবান্ন সূত্রে ইঙ্গিত, পার্ক বা রবীন্দ্র সরোবরের মতো জায়গায় না রেখে শহরের কোনও ব্যস্ত মোড়েও রাখা হতে পারে ওই মূর্তি। কারণ লকডাউন ও সেই সময়ে গোটা দেশ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার-দুর্দশার ইতিহাস কোথাও দলিল হয়ে শহরের বুকে থাকুক, এমন ভাবনাই রয়েছে রাজ্য সরকারের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement