St. Xaviers University

সেন্ট জেভিয়ার্সের স্নাতক স্তরের পড়ুয়া পড়তে পারবেন অন্য শহরেও! নয়া ব্যবস্থার ভাবনা

জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, স্নাতক স্তরের কোনও পড়ুয়া একলপ্তে কোর্স শেষ না করে তা দুই বা তিন ধাপে শেষ করতে পারেন। তাকেই বলা হচ্ছে, মাল্টিপল এন্ট্রি-এগজিট সিস্টেম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:১২
Share:

সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। — নিজস্ব চিত্র।

জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম মাঝপথে ছাড়লে আবার তাতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পরিভাষায় যার নাম, ‘মাল্টিপল এন্ট্রি-এগজিট সিস্টেম’। রাজ্যের শিক্ষানীতিতে এখনও পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ইঙ্গিত নেই। এরই মধ্যে রাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় সেই পরিকল্পনাকেই গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়নের কথা ভাবছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে দেশে সেন্ট জেভিয়ার্স নামধারী যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের কোনও পড়ুয়া সেই প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

Advertisement

চার বছরের স্নাতক স্তরের কোর্স চালু হচ্ছে। এই নয়া প্রক্রিয়ায় কোনও পড়ুয়া যদি নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে একই কোর্সে ভর্তি হতে চান, তা পারবেন। আবার পড়তে পড়তে মাঝপথে পড়া থামিয়ে পরবর্তীতে যদি আবারও সেই অসম্পূর্ণ পড়া শুরু করতে চান কোনও পড়ুয়া, তিনিও মাল্টিপল এন্ট্রি-এগজিট পদ্ধতির মাধ্যমে তা করতে পারবেন। নিয়ম বলছে, চার বছরের স্নাতক কোর্স শেষ করতে পড়ুয়ারা পাবেন মোট সাত বছর সময়। এই পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষানীতির অঙ্গ হলেও রাজ্য সরকার এখনও তা নিয়ে কিছু জানায়নি। এ বার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় জানাল, মাল্টিপল এন্ট্রি-এগজিটের বাস্তবায়নে আগ্রহী তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ বলেন, ‘‘আমাদের ভাবনা রয়েছে, আগামী দু’বছরের মধ্যে দেশে সেন্ট জেভিয়ার্সের যতগুলি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, তার মধ্যে আমরা এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাব।’’ প্রসঙ্গত, গোটা দেশে সেন্ট জেভিয়ার্সের মোট ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কোনও বিষয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হলে তার পরের বছর সেই পড়ুয়া এই প্রতিষ্ঠানের মুম্বই শাখার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তার কোর্স শেষ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্রেডিট ট্রান্সফারের বিষয়টি বিবেচ্য এবং তার সমস্ত তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছলেই এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব। আমরা চাই, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও আমাদের অনুসরণ করুক।’’

Advertisement

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য জমি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মোট ১০.৭ একর জমিতে গড়ে উঠতে পারে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এগজিকিউটিভ এমবিএ-সহ একাধিক কোর্স চালু করতে চলেছে সেন্ট জেভিয়ার্স। রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা খোলার প্রস্তাবও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement