—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক স্কুলে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদেরও পড়ার সুযোগ মিলছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতেও এই সহশিক্ষার সুযোগ মিলবে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়বে। অতিরিক্ত ক্লাসঘরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের তাঁদের স্কুলের কাছেই ডাফ স্ট্রিটে ডায়াসেশন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের সেন্ট মার্গারেট’স স্কুলের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সেন্ট মার্গারেট’স স্কুল ও স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল একই চার্চের অধীনে। সেন্ট মার্গারেট’স স্কুলে শুধু মেয়েরাই পড়ে। এ দিকে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিকে সেন্ট মার্গারেট’স স্কুলে বসানোর সিদ্ধান্তে অস্তিত্ব মুছে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মার্গারেট’স-এর প্রাক্তনীদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেন্ট মার্গারেট’স স্কুলও যথেষ্ট ঐতিহ্যশালী। গত বছর এই স্কুল তার সার্ধশতবর্ষ পূরণ করেছে। স্কুলের বহু প্রাক্তনী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন কারণে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে অনেক। ওই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এখনও শুরু হয়নি। তবে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক খোলার দাবি উঠেছিল সর্বস্তর থেকেই।
সেন্ট মার্গেরেট’স-এর এক প্রাক্তনী সুস্মিতা ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল, স্কুলের নিজস্ব উচ্চ মাধ্যমিক স্তর খোলা। এখন শুনছি, সেখানে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। ঐতিহ্যশালী একটা স্কুল এ ভাবে তার পরিচয় হারিয়ে ফেলবে না তো? স্কটিশ চার্চ স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস আমাদের স্কুলে যখন হচ্ছে, তখন দুটো স্কুলের নাম জুড়ে একটা নাম দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’
যদিও স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস সান্যালের আশ্বাস, ‘‘সেন্ট মার্গারেট’স স্কুলের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা নেই। বরং সেন্ট মার্গারেট’স স্কুলের শ্রেণিকক্ষে স্কটিশের একাদশ এবং দ্বাদশের পঠনপাঠন শুরু হলে ওখানকার ছাত্রীরা দশম পাশ করে একাদশে সরাসরি ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিটি স্কুলের আলাদা পরিচয় রয়েছে। সেই পরিচয়েই সেন্ট মার্গারেট’স দশম শ্রেণি পর্যন্ত চলবে।’’ এই বিষয়ে সেন্ট মার্গারেট’স কর্তৃপক্ষকে ফোন ও মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি।