গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসেছে। হয়েছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও। মাঝেমধ্যে হৃদ্স্পন্দনে ছন্দপতন ঘটলেও ওষুধের মাধ্যমে তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যে ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’ কলকাতা হাই কোর্টে পেশ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে এ কথা।
এসএসকেএম হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের তরফে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ৬২ বছরের সুজয়কৃষ্ণ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। তবে তাঁর রক্তচাপ (১০৬/৭০) এবং নাড়ির স্পন্দনে (৮৮/মিনিট) তেমন কোনও অস্বাভিকতা নেই। বুধবারের (৩ জানুয়ারি) ওই রিপোর্টে ইডি হেফাজতে থাকা সুজয়ের অন্য কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লিখিত হয়নি।
তবে ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, সুস্থ থাকার জন্য দিনে ৮ রকমের ওষুধ খেতে হয় সুজয়কৃষ্ণকে। তার সবগুলিই ট্যাবলেট। রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য ক্লোপিডোজ়েল, লিপিডের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাট্রোভ্যাস্টাটিন, হৃদ্যন্ত্রের গতি ঠিক রাখার জন্য মেটোপ্রোলোল সাক্সিনেট রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে, সুগার এবং অন্য কিছু সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভোগলিবোস, লিনাগ্লিপ্টিন, ডাপাগ্লিফোজ়িনের মতো ওষুধ। এ ছাড়া বেদনানাশক অ্যাসপিরিন এবং গ্যাসের সমস্যার মোকাবিলায় নিয়মিত প্যান্টোপ্রাজ়োল খান ‘কালীঘাটের কাকু’।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে প্রায় পাঁচ মাস পরে ‘কাকু’কে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বার করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে একই বাক্য বার বার করে বলানো হয়। ওই সূত্রের খবর, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর রাত ৩টে ২০ নাগাদ সুজয়কৃষ্ণকে ফের ইএসআই হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয়।