সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি। অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ না হয়েও এসএসকেএম হাসপাতালে শয্যা দখল করে রয়েছেন তিনি। এই মামলায় সব পক্ষকে নোটিস দিতে বলল হাই কোর্ট। মঙ্গলবার এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হবে।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম থাকা অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতাল। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবার অপব্যবহার হচ্ছে, এমনটা দাবি করে আদালতে মামলা করার আর্জি জানান আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। পরে একই অভিযোগ করে বিজেপির তরফেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রথম মামলাটির হলফনামায় মামলাকারী দাবি করেছিলেন, ‘‘চিকিৎসার প্রয়োজন নেই অথচ ওই হাসপাতালে প্রভাবশালীরা বেড (শয্যা) দখল করে রেখেছেন। সেখানে তাঁদের ভণ্ড চিকিৎসা চলছে। অসুস্থ সাধারণ মানুষ বেড পাচ্ছেন না। আশঙ্কাজনক রোগীরাও উপযুক্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’’ মামলাকারী আদালতে আবেদন করেন, ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘অভিযুক্তদের’ সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। তা যাচাই করা হোক কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাসপাতালকে দিয়ে। তার পর মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’র ‘এসএসকেএমের শয্যা দখল’ নিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল বিজেপির তরফে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। ওই হাসপাতালে ‘কাকু’র চিকিৎসা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ইডি। আদালতে ইডি জানিয়েছে, ওই হাসপাতালের উপর তাদের কোনও বিশ্বাস নেই। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার পীযূষকুমার রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে অভিযোগও তুলেছে ইডি। ইডির দাবি, পীযূষকুমার মেডিক্যাল রিপোর্টে কারচুপি করছেন। ইডির বক্তব্য শুনে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে ‘কাকু’র চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে চেয়ে পাঠিয়েছে হাই কোর্ট।