হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করাতে এসে নিখোঁজ হয় যান রোগী।
অস্ত্রোপচারের ভয়েই কি এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন প্রৌঢ় রোগী? প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তবে একই সঙ্গে তদন্তকারীরা জানান, বিশ্বনাথ রায় নামে বছর ৫৮-র ওই রোগী অসুস্থ থাকায় তাঁর সঙ্গে ঠিক মতো কথা বলা যায়নি। মাঝের চার দিন তিনি কোথায় ছিলেন, জানা যায়নি তা-ও। বিশ্বনাথের পরিজনেরা জানিয়েছেন, উদ্ধারের পরে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত স্থানীয় হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলবে।
হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের জন্য গত ১৯ নভেম্বর, শনিবার এসএসকেএমের কার্জন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথকে। কিন্তু অভিযোগ, সোমবার দুপুরের পরে নিখোঁজ হয়ে যান ওই প্রৌঢ়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো না হলেও মঙ্গলবার তাঁর পরিজনেরা ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নারকেলডাঙা থানার কবি সুকান্ত সরণিতে সন্ধান মেলে বিশ্বনাথের। তাঁকে প্রথমে ওই থানা এবং পরে ভবানীপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে।
কী ভাবে সন্ধান মিলল ওই রোগীর? পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সোমবার দুপুর ২টো ৪৮ নাগাদ বেরিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বনাথ। কিন্তু কোন পথে তিনি গিয়েছেন, তা জানা যায়নি। সেটা জানার জন্য বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৮০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যায়, ওই প্রৌঢ় নারকেলডাঙা থানা এলাকায় যাওয়ার পরে তাঁকে আর চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এক অফিসার বলেন, ‘‘সেই হিসাবে আমাদের অনুমান ছিল, তিনি ওই এলাকাতেই কোথাও রয়েছেন। তাই সব থানায় তাঁর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি, নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও ওই রোগীর ছবি ছড়িয়ে দেন ভবানীপুর থানার অফিসারেরা।’’
বৃহস্পতিবার রাতে তেমনই একটি সূত্র মারফত নারকেলডাঙা থানার অফিসার জানতে পারেন, কবি সুকান্ত সরণিতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরছেন এক প্রৌঢ়। যাঁর চেহারার সঙ্গে মিল রয়েছে নিখোঁজ রোগীর। খবর পেয়ে প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ওই অফিসার। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনিই এসএসকেএম থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।