প্রতীকী ছবি।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এ বার সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনের কাছে ওয়াই চ্যানেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান, বিক্ষোভে বসলেন শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এস এস কে) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের (এম এস কে) শিক্ষকেরা। ওই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে রয়েছেন এসএসকে এবং এমএসকে-র অধীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরাও।
সারা রাজ্য থেকে প্রায় ১৫০০ জন শিক্ষকের এই বিক্ষোভ অবস্থান শুরু হয় বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ বিকাশ ভবনের কাছে। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সভাপতি সুজিত দাস জানান, বর্তমান সরকার যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তার পর থেকে গত আট বছরে তাঁদের বেতন বাড়েনি। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকের বেতন ৫৪০০ টাকা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতন ৮৯০০ টাকা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের এই স্কুলগুলিতে কম পক্ষে ১৮ লক্ষ পড়ুয়া পড়াশোনা করে। অবিলম্বে তাঁদের বেতন কাঠামো প্রাথমিক শিক্ষক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের মতো করতে হবে। সুজিতবাবু বলেন, ‘‘বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও একটি দাবি রয়েছে। তা হল এস এস কে এবং এম এস কে-কে অবিলম্বে শিক্ষা দফতরের অধীন করতে হবে। এখন দু’টিই পঞ্চায়েতের অধীন।’’
সুজিতবাবু জানান, এ দিন বিকাশ ভবনে তাঁরা স্মারকলিপি দিতে আসার পরে জানতে পারেন, শিক্ষা দফতরের বহু আধিকারিকই নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ফলে তাঁদের দাবি দাওয়ার কথা শোনার মতো তেমন কেউ ছিলেন না। তাই তাঁরা প্রথমে বিকাশ ভবনের কাছে করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছে বসে পড়েন। এর ফলে যান চলাচলে ব্যাহত হয়। বিকেলে পুলিশ তাঁদের ওখান থেকে উঠিয়ে দিলে বিক্ষোভকারীরা উন্নয়ন ভবনের ওয়াই চ্যানেলের কাছে গিয়ে বসে পড়েন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শিক্ষা দফতর তাঁদের বেতন বৃদ্ধির দাবি মেনে না নিলে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। প্রয়োজনে বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা ওখানেই অনশনে বসবেন। এই অবস্থানের কারণে সেচ ভবন ও পূর্ত ভবন থেকে করুণাময়ী মোড় পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ঘোরানো হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বিধানননগরের কর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।