হাতেকলমে: লেন ড্রাইভিংয়ের সুবিধা বোঝাতে সচেতনতার পাঠ বাইক আরোহীদের। শনিবার, পার্ক সার্কাসে। নিজস্ব চিত্র
রাতের শহরের ফাঁকা রাস্তায় ডিউটি করছিলেন দুই পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা কিছু বোঝার আগেই দু’টি মোটরবাইকে চেপে ছ’জন আরোহী এঁকেবেঁকে বেপরোয়া গতিতে বেরিয়ে গেলেন।
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এমন চিত্র হামেশাই দেখা যায়। যেখানে ‘লেন’ না মেনে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করার প্রতিযোগিতা চলে। এ বার তাই হাতেকলমে শিক্ষা দেওয়া শুরু করল ট্র্যাফিক পুলিশ।
লালবাজার জানিয়েছে, শনিবার পার্ক সার্কাস সাতমাথার মোড়ে লেন ড্রাইভিংয়ের সুবিধা এবং অসুবিধা বাস্তবে দেখিয়ে মোটরবাইক চালকদের সতর্ক এবং সচেতন করল ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ড। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ৫৫ জন চালককে ছ’ফুট জায়গার মধ্যে বাইক চালিয়ে ওই পাঠ দেওয়া হয়। মূলত ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীদেরই সচেতনতার সেই পাঠ দেওয়া হয়েছে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন পার্ক সার্কাস সাতমাথার মোড়ে ছ’ফুটের একটি বাইক লেন তৈরি করা হয়। চল্লিশ মিটার লম্বা ওই লেনের ভিতরে চালকদের বাইক চালাতে বলা হয়েছিল। এক পুলিশকর্তা জানান, ছ’ফুটের ওই লেনে বেশির ভাগ চালক চালাতে পারেননি। তাঁদের বোঝানো হয়েছে, লেন ধরে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেক কমে।
শহরের রাস্তায় একাধিক লেন থাকলেও তা মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায় না। সেই সঙ্গে বেপরোয়া ভাবে চালানোর জন্যই বেশির ভাগ সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হন বাইকের চালক ও আরোহীরা। বর্ষবরণের রাতে তাই পুলিশ ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীদের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। এক রাতে শুধু পার্ক স্ট্রিট চত্বরেই একশো পনেরোটি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। খোদ পুলিশ কমিশনারের গাড়ির সামনে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে হেলমেটহীন অবস্থায় মোটরবাইক চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। যা নিয়ে সিপি ট্র্যাফিক গার্ডের এসি এবং ওসিদের সামনে নিজের উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন গত সপ্তাহেই।