—প্রতীকী চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই জন্ম নিয়েছে ‘রেমাল’। আজ, রবিবার মধ্যরাতে উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়ার কথা রয়েছে তার। সেই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দমদমের তিন পুর এলাকায়। বিশেষ দল তৈরির পাশাপাশি পুর ভবনগুলিতে খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল ইউনিট। ঝড়ের সঙ্গে যুঝতে শনিবার সব প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তিন পুরসভা।
আজ, রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরুর আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও পুরসভাগুলি জানিয়েছে, জল জমার প্রবণতা ঠেকাতে এবং বিপর্যয় মোকাবিলার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগেই পুর এলাকার খাল, নালাগুলির সংস্কার করা হয়েছে। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, পরিস্থিতি সামলাতে ৩০ জনের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। পুর ভবনে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল ইউনিট। বিদ্যুৎ, আবর্জনা অপসারণ, স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্মীদের মজুত রাখা হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়া-সহ অন্যান্য বিপর্যয় মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত পুরসভা। দক্ষিণ দমদম ও উত্তর দমদমেও বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে অতিরিক্ত পাম্পের ব্যবস্থা রেখেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। উত্তর দমদমের এক পুরকর্তা জানান, খাল-নালার অগ্রিম সংস্কার করা হয়েছে। তার পরেও ভারী বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমলে দ্রুত তা বার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এলাকার বিপজ্জনক গাছগুলিকে চিহ্নিত করেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
যদিও স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রতি বছরই জমা জল দ্রুত সরানোর কথা বলা হয়। সেই ব্যবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হলেও এখনও দমদমের একাধিক এলাকায় জল জমে বলে অভিযোগ। যদিও দক্ষিণ দমদম বা দমদমের পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, ‘‘অনেক নীচু জায়গায় জল জমার প্রবণতা রয়েছে। জল দ্রুত বার করতে অতিরিক্ত পাম্প মজুত করা হয়েছে।’’ ‘রেমাল’-এর প্রভাবে রেললাইন সংলগ্ন দু’পাড়ের এলাকা, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন নীচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা করছেন
বাসিন্দারা। সেই সব জায়গার দিকে নজর রয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। বড় হোর্ডিংগুলির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।