Coronavirus in Kolkata

২৪ ঘণ্টা পরীক্ষাগার চালাতে ‘পুল’ তৈরি

দফতর সূত্রের খবর, কোভিড পরীক্ষার ল্যাবরেটরিগুলি মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধীনে রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২০ ০৩:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাবরেটরিগুলিতে অনেক সময়েই পর্যাপ্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) অভাব থাকছে। এই সংক্রান্ত একাধিক তথ্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জমা পড়েছে। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে অনেক সময়েই ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দৈনিক যত পরীক্ষা ধার্য করা হয়েছে, অনেক সময়েই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধানেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান খোঁজা হয়েছে।

Advertisement

দফতর সূত্রের খবর, কোভিড পরীক্ষার ল্যাবরেটরিগুলি মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধীনে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার ভিত্তিতে সপ্তাহের সাত দিনই যাতে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা যায়, সে কারণে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের (ল্যাব) নিয়ে একটি বিশেষ ‘পুল’ তৈরি করা হয়েছে। সেই ‘পুল’-এ স্থায়ী কর্মীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই আছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে ওই ‘পুল’ গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন দফতর এবং ইউনিটে (প্রি-ক্লিনিক্যাল, প্যারাক্লিনিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল) কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের (ল্যাব) এই বিশেষ উদ্যোগে শামিল করা হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘তিন শিফটে যাতে কাজ করা যায়, সে কারণেই এই বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে যাতে কমপক্ষে ১৬ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) থাকেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’’

এমনিতেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বার বার দেশগুলিকে পরামর্শ দিচ্ছে। কারণ কে সংক্রমিত আর কে সংক্রমিত নন, তা একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা সম্ভব। সংক্রমিত ব্যক্তিকে বাকি জনগোষ্ঠীর থেকে আলাদা করতে পারলেই সংক্রমণের গতি থামানো যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানী-গবেষকেরা। ফলে সেখানে ২৪ ঘণ্টা ল্যাবরেটরি চালানোর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের একাংশ। এক গবেষকের কথায়, ‘‘সংক্রমণ রোখার প্রাথমিক ধাপই হল পরীক্ষা করা। সেই পরীক্ষার সব ধাপ যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তা সংশ্লিষ্ট দফতরকেই নিশ্চিত করতে হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement