— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছ’বছর আগে, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর পঞ্জাবে অমৃতসরের কাছে একটি এলাকায় দশেরার রাবণ বধ দেখার সময়ে প্রচুর মানুষ রেললাইনে উঠে এসেছিলেন। যার ফল, ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গিয়েছিল ৫৯ জনের। আসন্ন দুর্গাপুজোয় এমন ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এ বার পূর্ব রেলের পরিকল্পনা, লাইনের ১০ থেকে ২০ মিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত মণ্ডপগুলিতে অত্যধিক ভিড়ের কারণে যাতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হবে রেল রক্ষীর বিশেষ দল। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন শাখায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, রেললাইনের ১০ থেকে ২০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত পুজো মণ্ডপের সংখ্যা ৫০-এর কাছাকাছি। মূলত শিয়ালদহ মেন, বনগাঁ এবং দক্ষিণ শাখায় এমন মণ্ডপের সংখ্যা বেশি। সেখানে নিরন্তর নজরদারি চালানো ছাড়াও রেল পুলিশের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
পুজোর চার দিন সকালের দিকে ট্রেনের সংখ্যা কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে তা বাড়তে থাকে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রায় সারা রাত লোকাল ট্রেনের পরিষেবা চালু থাকে। রেলের নির্দেশ, বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় জমে যাওয়া এড়াতে ওই সময়ে গ্যালপিং ট্রেন চলবে না। যে সব ট্রেন গ্যালপিং হিসাবে চলে, সেগুলি নির্দিষ্ট শাখার সমস্ত স্টেশনে থামবে।
এ ছাড়াও বারাসত, খড়দহ, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, রানাঘাট, বহরমপুর-সহ বেশ কিছু জায়গায় ব্যস্ত লেভেল ক্রসিংয়ে ভিড় সামাল দিতে মোতায়েন করা হবে আরপিএফ। আরও ২৪টি দুর্বল লেভেল ক্রসিংয়ে ভিড়ের নজরদারিতে থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী।
এ সবের পাশাপাশি, শিয়ালদহ স্টেশনে সহায়তা-বুথ খোলার কথা ভাবা হয়েছে। বিকেল পাঁচটা থেকে ভোর পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ থাকবে ট্রলির ব্যবহার। ভিড় সামলাতে খোলা হবে অতিরিক্ত পাঁচটি বুকিং কাউন্টার।
শিয়ালদহ ছাড়াও বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, কৃষ্ণনগর, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট স্টেশনে বাড়তি নজরদারি চলবে। সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলিতে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ঠিক রাখার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। বিভিন্ন স্টেশনে
অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক রাখার পাশাপাশি শিয়ালদহের মতো স্টেশনে মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার স্বার্থে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত, প্যারামেডিক্যাল কর্মী এবং চিকিৎসক-দল রাখা হবে।