প্রতীকী ছবি।
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে রবিবার বিধাননগর পুর এলাকা এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে অভিযান চালালেন বিধাননগর পুরনিগম এবং নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ। এ দিন পুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ঝোপজঙ্গল সাফাই, মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ছড়ানো হয়েছে। মেয়র এবং কাউন্সিলেররা পথে নেমে কাজের তদারকি করেন।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, গত বছর বিধাননগরে দুই শতাধিক মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বছর এখনও পর্যন্ত ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বছরভর সব ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলে। কোথাও জল জমতে দেওয়া হয় না। বাসিন্দারাও পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। তবে বন্ধ বাড়ি বা ফাঁকা জমির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। মেয়র জানান, সে ক্ষেত্রে জমি বা বাড়ি মালিককে নোটিস পাঠানো হয়। জানানো হয়, জল বা আবর্জনা জমে থাকলে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সাফাই করবে পুরসভা। তবে সেই খরচ মালিকের সম্পত্তিকরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন বাড়ির, গ্যারাজের ছাদে যাতে জল জমে না থাকে, সে দিকেও নজর রাখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জোর দিতে বলেছেন বলে জানান মেয়র। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশেই এ দিন ডেঙ্গি বিজয় অভিযান করা হয়। প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করার কথাও জানিয়েছে বিধাননগর পুরনিগম।
এ দিন তথ্যপ্রযুক্তি তালুকেও এই অভিযান শুরু হয়েছে। সেখানে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নবদিগন্তের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন-সহ অন্য আধিকারিকেরা। নবদিগন্ত সূত্রের খবর, মশা নিয়ন্ত্রণ এবং করোনা রোধে জীবাণুমুক্ত করার জন্য আলাদা আলাদা দল তৈরি করা হয়েছে। নবদিগন্তের এক কর্তা জানান, বর্তমানে শিল্পতালুকে অল্প সংখ্যক কর্মী অফিসে আসছেন। তাই বহুতলগুলির রক্ষণাবেক্ষণ, সাফাইয়ের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। ড্রোন উড়িয়ে এ দিন দেখা হয়, কোনও বহুতলের ছাদে জল জমে আছে কি না।