প্রতীকী চিত্র।
দেশের অন্য রাজ্য বা বিদেশ থেকে যে ভিআইপি-রা কলকাতায় আসেন, তাঁদের জন্য সব সময়ে সতর্ক থাকতে হয় পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অফিসারদের। কখন কোন ভিআইপি আসছেন, সেই বার্তা তাঁরা পান ই-মেল মারফত। অন্য দিকে, ভিআইপি-র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ থাকে ল্যান্ডলাইনের মাধ্যমে। কিন্তু গত রবিবার সল্টলেকে মুষলধারে বৃষ্টির পরে বিকল হয়ে গিয়েছে পুলিশ আরক্ষা ভবনের অধিকাংশ ল্যান্ডলাইন নম্বর। ওই ভবনেই বিধাননগর কমিশনারেটের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দফতর এবং কন্ট্রোল রুম। স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দফতর থেকে অফিসারেরা পুলিশ-রিপোর্ট তৈরি করে ইন্টারনেট মারফত পাঠান পাসপোর্ট দফতরে। কিন্তু সেই নেটও বিকল। ওই বাড়িতে অন্য দফতরের সঙ্গে রয়েছে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুমও। সব কাজ এখন চলছে মোবাইলের মাধ্যমে।
বিএসএনএল-এর কলকাতার চিফ জেনারেল ম্যানেজার শীতলাপ্রসাদ ত্রিপাঠী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, একটি কেব্ল ফল্ট হয়েছে। আজ, শুক্রবারের মধ্যে তা সারানো হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় এসেছেন উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োরি কাগুতা মুসেবেনি। চিন থেকে শহরে এসে আজ তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা। বুধবারই দিল্লি থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধরনের ভিআইপি-দের যাতায়াতের জন্য সতর্ক থাকতে হয় অফিসারদের। কিন্তু সোমবার থেকে ল্যান্ডফোন কাজ না করায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
এক পুলিশকর্তা জানান, বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার কোনও বাসিন্দা পাসপোর্টের আবেদন করলে তা প্রথমে বিদেশ দফতর থেকে পুলিশি যাচাইয়ের জন্য স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়। তদন্তের পরে ওই আবেদন ফেরত যায় বিদেশ দফতরে। রোজ গড়ে পাঠাতে হয় এমন ৬০টি পাসপোর্টের রিপোর্ট। ইন্টারনেট কাজ না করায় মোবাইলে ওয়াইফাই ব্যবহার করে ওই রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন অফিসারেরা। ফলে মাঝেমধ্যেই জমে যাচ্ছে অনেক রিপোর্ট।