Kolkata News

প্রকাশ্যে মাংস কাটায় নিষেধাজ্ঞা, দোটানায় ব্যবসায়ীরা

বুধবার রাতে প্রকাশ্যে মাংস কাটা বন্ধের আর্জি জানিয়ে বিভিন্ন বাজারে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। দমদম রোড-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাজারে যেখানে মুরগি, খাসি, মাছ-সহ অন্য কোনও মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে, সেখানেই এই ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার থেকে ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনার শুরু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৮ ০১:৩৬
Share:

বিজ্ঞপ্তি: প্রকাশ্যে মাংস কাটা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে ফ্লেক্স টাঙিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। তার সামনেই অবশ্য মুরগি কেটে বিক্রি করছেন এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে, দমদম রোডে। ছবি: সৌরভ দত্ত

পুর প্রশাসন নাকি ক্রেতা— কার মন জুগিয়ে চলবেন তা নিয়ে দোটানায় মাংস বিক্রেতারা।

Advertisement

বুধবার রাতে প্রকাশ্যে মাংস কাটা বন্ধের আর্জি জানিয়ে বিভিন্ন বাজারে ফ্লেক্স টাঙিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। দমদম রোড-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাজারে যেখানে মুরগি, খাসি, মাছ-সহ অন্য কোনও মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে, সেখানেই এই ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার থেকে ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনার শুরু। এক মুরগি ব্যবসায়ী শিবপ্রসাদ পাশী বলেন, ‘‘কী বলতে চেয়েছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না! সামনে মাংস না কেটে দিলে ক্রেতারা তো নিতে চাইছেন না!’’ খাসির দোকানদার গৌতম সাহা বলেন, ‘‘ভাগাড়-কাণ্ডের পর থেকে কাটা মাংস কেউ নিতে চাইছেন না। এখন পুরসভার কথা মেনে চললে বাড়িতে মাংস কাটতে হয়। তখন তো আবার বলবে ভাগাড়ের মাংস!’’

Advertisement

পুরসভার এক কর্তা জানান, প্রকাশ্যে মুরগি, খাসি, মাছ-সহ অন্য প্রাণীর মাংস কাটা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। সম্প্রতি এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকেরা প্রকাশ্যে মাংস কাটা বন্ধে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেন। সেই প্রেক্ষিতেই প্রচার হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে পুরপ্রধান বলেন, ‘‘মাংস বিক্রেতারা যা বলছেন তা একেবারে ভিত্তিহীন নয়। তবে প্রকাশ্যে রক্তপাত না করে আড়ালেও কাটা যায়। দোকানেই কোথাও ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলে ক্রেতাদেরও সন্দেহ দূর হবে।’’

তবে ফ্লেক্সের বয়ানে আদৌ কতখানি কাজ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান পুর কর্তাদের একাংশ। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘পুর আইনে এ ভাবে যাঁরা মাংস বিক্রির ব্যবসা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এখন আবেদন করছি। কাজ না হলে কড়া মনোভাব দেখানো হবে।’’

এতে অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারছেন না নাগরিকেরা। এ দিন প্রাইভেট রোডের কাছে মাংস কিনতে আসা সত্যম দাশগুপ্তের কথায়, ‘‘প্লাস্টিক, থার্মোকল বন্ধ করতেও তো লাগাতার প্রচার চলছে। বদল চাইলে মনোভাব বদলানো জরুরি। তার চেয়েও জরুরি আন্তরিক চেষ্টা। এই উদ্যোগ যেন প্রচারেই থেমে না থাকে।’’ আর এক ক্রেতা রমা শীল বলেন, ‘‘খোলা রাস্তায় মুরগি, খাসি কাটা বন্ধ করতে পারলে স্বাগত। তবে এ ক্ষেত্রে গাঁধীগিরি চলবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement