আক্রান্ত হলেন পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর। ফাইল ছবি
দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এ বার সেখানে আক্রান্ত হলেন পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর। এই ঘটনা তাই চিন্তা আরও বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
দক্ষিণ দমদমের স্যানিটারি ইনস্পেক্টর রতনগোপাল দাস সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পুরসভা জানিয়েছে, পরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই বিধাননগরের বাসিন্দা ওই আধিকারিকের ডেঙ্গি হওয়ার ঘটনায় এ বার নড়ে বসেছে প্রশাসন। পরবর্তী কালে যাতে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত পুরকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে, সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গির মরসুমে এখনও পুর এলাকায় ঝোপজঙ্গল, খোলা পাত্র ও টবে জমা জল, আবর্জনার স্তূপ বা থার্মোকলে জমা জলের ছবি দেখা যাচ্ছে যত্রতত্র। যদিও এর পরেও এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে চলেছে পুরসভা। প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি অভিযান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, জলাশয়-নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়া, সচেতনতার প্রচার, কোথাও জল বা আবর্জনা জমেছে কি না তা চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করার কাজ চলছে। কিন্তু ডেঙ্গি নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতনতার মাত্রা তুলনায় কিছুটা বাড়লেও তা এখনও পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি পুরসভার। সচেতনতা বাড়াতে তাই প্রতিটি ওয়ার্ডেই নানা কর্মসূচি নিচ্ছে পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য দাবি, প্রতিবেশী পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে, তারই প্রভাব পড়ছে এখানেও।
এমন পরিস্থিতিতে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে গিয়ে যাতে পুরকর্মীরা নিজেরাই অসুস্থ না হয়ে পড়েন, সে জন্য তাঁদের পুর কর্তৃপক্ষের তরফে সতর্ক কর েদওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, কাজ করার সময়ে যে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বনের কথা নির্দেশিকায় বলা রয়েছে, তা যাতে তাঁরা মেনে চলেন সে দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুর আধিকারিকের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুরকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। তবে এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সর্বতো চেষ্টা চালাচ্ছে পুরসভা।