ফাইল চিত্র।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই বালিকার মৃত্যুর ঘটনার পরে এ বার বাতিস্তম্ভের ত্রুটি সংশোধনে জোর দিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সোমবার সিইএসসি-র সঙ্গে এ নিয়ে একটি বৈঠকের পরে দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জানান, দু’পক্ষ একযোগে পুর এলাকায় বাতিস্তম্ভের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডের সাত হাজার বাতিস্তম্ভের অনেকগুলিরই লোহার ঢাকনা উধাও। তাই এ বার লোহার বদলে প্লাস্টিকের ঢাকনা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে
পুরসভা। পাশাপাশি বাতিস্তম্ভের ঢাকনা আরও উঁচুতে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে, যাতে তা সহজে কেউ চুরি করতে না পারে।
যদিও ঢাকনা বদলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা কতটা আটকানো যাবে, তা নিয়ে সংশয়ে বাসিন্দারা। এ জন্য এলাকায় জমা জল সরাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন তাঁরা। তবে এলাকায় জল জমলে সেখানে বিদ্যুৎ যোগাযোগ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন ফিরহাদ হাকিম। লিখিত নির্দেশ পেলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিষেবা অস্থায়ী ভাবে বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে সিইএসসি-ও। তবে তারা এ-ও জানিয়েছে যে, সার্বিক ভাবে এলাকায় বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় তারা। কিন্তু বাতিস্তম্ভ বসানো বা সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পুরসভার।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বাপি মিত্র জানান, ইতিমধ্যেই পুর এলাকার খোলা বাতিস্তম্ভগুলির মধ্যে ৯০ শতাংশই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত শেষ করা হবে। মুখ্য প্রশাসক জানিয়েছেন, জমা জলের সমস্যা মেটাতে বাগজোলার নাব্যতা বৃদ্ধি-সহ সংস্কারের বিষয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই বিষয়ে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করা হবে।