প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রতিষেধক নেওয়ায় উৎসাহিত করতে বাসিন্দাদের সম্পত্তিকরের ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সেই মতো প্রস্তাব রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠাবে তারা। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে ওই ছাড় পেতে বাসিন্দাদের প্রতিষেধকের যে কোনও একটি ডোজ় নেওয়ার শংসাপত্র দেখালেই হবে বলে জানাচ্ছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ।
জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ দমদমে করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে তা কিছুটা কমেছে বলে দাবি প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার পুর এলাকায় ৪৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দক্ষিণ দমদমে সাত জনের মৃত্যু হল। পুরসভা সূত্রের খবর, এঁদের সকলেরই কোমর্বিডিটি ছিল।
অতিমারি থেকে বড় ঝুঁকি এড়াতে তাই বাসিন্দাদের কোভিড প্রতিষেধক প্রদানে উৎসাহিত করছে পুরসভা। সে জন্যই বকেয়া সম্পত্তিকরের ২৫ শতাংশ মকুবের কথা ভাবা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ়, প্রায় ৩ লক্ষ ৬২ হাজার দ্বিতীয় ডোজ় এবং ৫০৯ জন বুস্টার ডোজ় পেয়েছেন। পাশাপাশি ১৫-১৮ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক দিতে প্রচার শুরু করেছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই ৮৪৫৮ জন ১৫-১৮ বছর বয়সিকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে যেমন বিশেষ প্রচার করে এমন ৮০ জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। প্রাপকদের হাতে স্কুল ব্যাগ, ফুটবল-সহ খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তথা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ক্লাবগুলিকে কাজে লাগিয়ে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের প্রতিষেধক প্রদানে বিশেষ জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো এলাকায় প্রচার চালিয়ে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
পুরসভার এক কর্তা বলছেন, যদিও বকেয়া করের পরিমাণ অনেক। তবুও প্রতিষেধক নেওয়ায় উৎসাহ দিতে পুরসভা ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে। তা কার্যকর হলে রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। মুখ্য প্রশাসক জানাচ্ছেন, সম্পত্তিকরে ছাড়ের প্রস্তাব রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন এলেই পরিকল্পনা কার্যকর হবে।