হাসপাতালে প্রীতম কুণ্ডু। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
যকৃতের চিকিৎসায় ভিন্ রাজ্যে রোগীকে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনেরা। প্রতিস্থাপন জরুরি সত্ত্বেও বসিরহাটের বাসিন্দা রঞ্জিত কুণ্ডুর (৪৬) সঙ্গে অন্য কারও যকৃৎ না মেলায় অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছিল না। এই অবস্থায় পরিবারের বাধা অগ্রাহ্য করে বাবাকে বাঁচাতে নিজের যকৃতের ৬৫ শতাংশ দান করলেন উনিশ বছরের ছেলে প্রীতম কুণ্ডু, এসএসকেএমের ‘স্কুল অব ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার ডিজ়িজ়েস’-এর সাহায্যে।
রঞ্জিতবাবুর ভাই জয়ন্ত কুণ্ডু জানান, সিরোসিস অব লিভারে আক্রান্ত তাঁর দাদাকে দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন। এ জন্য এসএসকেএমেই চিকিৎসা হবে বলে জানান তাঁরা। কিন্তু অন্য কারও সঙ্গে না মেলায় সেই অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছিল না। তখনই প্রীতম যকৃৎ দিতে চাইলে পরিবারের কেউ রাজি হননি। অনড় ছেলের জেদের কাছে হার মানেন মা সুজাতা। এর পরেই এসএসকেএমের হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি শুরু হয়।
অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘ছেলেটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। ভিন্ রাজ্যে না ছুটে এখানেও যে চিকিৎসা হয়, সেই ভরসা রাখতে হবে রোগীর পরিবারকে।’’