ফাইল চিত্র।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সময়ে পরিবর্তন আনতে পারে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। তবে সবটাই ভাবনার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
বর্তমানে দুপুর ১টার পরে ধর্মতলা থেকে পার্ক সার্কাসমুখী গাড়িগুলি পার্ক স্ট্রিট দিয়ে যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, সকালের মতো দুপুর একটার পরেও পার্ক স্ট্রিট দিয়ে শুধু ধর্মতলামুখী গাড়ি চালানো যায় কি না, সেই চিন্তাভাবনা চলছে। সেই সঙ্গে শেক্সপিয়র সরণি দিয়ে গোটা দিনই পার্ক সার্কাসমুখী গাড়ি চালানোর পরিকল্পনাও হচ্ছে। সূত্রের খবর, পরিকল্পনার অনুমোদন মিললে পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণি, ক্যামাক স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড বা মির্জা গালিব স্ট্রিট দিনভর একমুখী থাকবে।
বর্তমানে দুপুর একটার পর পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণি কিংবা ক্যামাক স্ট্রিট সংলগ্ন আশপাশের সব রাস্তার গাড়ির দিক পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ, সকালে গাড়ির অভিমুখ যে দিকে থাকে, দুপুর একটার পরে তা বিপরীতমুখী হয়। পার্ক স্ট্রিট দিয়ে সারাদিন একমুখী গাড়ি চালানোর যে পরিকল্পনা পুলিশ করছে, তার মধ্যে সংলগ্ন ওই সব রাস্তাও আছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, মা উড়ালপুল থেকে গাড়ি পার্ক সার্কাসে নেমে যাতে সব সময়ে পার্ক স্ট্রিট দিয়ে সোজা ধর্মতলা বা বি বা দী বাগ যেতে পারে, তাই এই ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। তা ছাড়া পার্ক স্ট্রিট এবং শেক্সপিয়র সরণি সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি স্কুল রয়েছে। যেগুলো দুপুর একটার পরে ছুটি হয়। ওই সময়ে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে শেক্সপিয়র সরণি-সহ আশপাশের রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়। নতুন পরিকল্পনায় সেই কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে, যাতে তখন ওই অংশে যানজট কম হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিকেলে অফিস ছুটির সময়ে পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। ওই সময়ে ধর্মতলা বা বি বা দী বাগ থেকে পার্ক স্ট্রিট দিয়ে পার্ক সার্কাস হয়ে প্রচুর গাড়ি চলে। পার্ক স্ট্রিট সব সময়ের জন্য ধর্মতলামুখী হলে গাড়িগুলিকে ওই সময়ে শেক্সপিয়র সরণি দিয়ে যেতে হবে। এ দিকে শেক্সপিয়র সরণি আবার পার্ক স্ট্রিটের মতো চওড়াও নয়। তা ছাড়া ওই রাস্তায় ক্রসিংয়ের সংখ্যা বেশি। ফলে দুপুরের পরে পার্ক স্ট্রিটের মতো গাড়ির চাপ ওই রাস্তায় পড়লে গতি বাধা পাবে এবং যানজটের আশঙ্কা থাকবে। এ ক্ষেত্রে লালবাজারের অনুমান, দুপুরের পর পার্ক স্ট্রিট-সহ ওই এলাকার রাস্তায় গাড়ির দিক পরিবর্তন বন্ধ হলে ধর্মতলা থেকে পার্ক সার্কাসমুখী গাড়ি সোজা এ জে সি বসু উড়ালপুল দিয়েই যাতায়াত করবে।
তবে নতুন পরিকল্পনা যানবাহন চলাচলে ভারসাম্য বজায় রাখতে পুলিশকে সাহায্য করবে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এর পরেই তা বাস্তবায়িত হবে বলে লালবাজারের এক কর্তা জানান। তাঁর কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই ওই দিক পরিবর্তন বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। সবটাই ভাবনা এবং পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই তা পাশ হতে পারে।