—ফাইল ছবি
ভরা বর্ষার মধ্যেই কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশনে নিকাশির ১০টি পাম্প খারাপ বলে চিহ্নিত করল নিকাশি দফতর। পাম্প খারাপ হওয়ায় জল জমার সমস্যা মোকাবিলায় কিছু জায়গায় আপাতত ‘স্ট্যান্ডবাই’ পাম্প দিয়ে কাজ চালানো হবে বলে জানান পুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, “যে কোনও সময়েই পাম্প খারাপ হতে পারে। সেই কারণেই পুর কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডবাই পাম্প রাখেন। আগে আরও বেশি পাম্প খারাপ থাকত। এখন সংখ্যায় অনেক কম। পাম্পগুলি খারাপ কেন তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জোগাড় করেছি। সবক’টি পাম্পই সারানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, ধাপা পাম্পিং স্টেশনে ২০টি, মানিকতলায় ১টি, বালিগঞ্জে ৪টি এবং পামারবাজারে আপাতত ৩টি পাম্প খারাপ রয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ওই পাম্পগুলি অকেজো বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আপাতত দরপত্র ডেকে এই পাম্প সারানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও ওই সব পাম্পের অভাবে ভারী বৃষ্টিতে দ্রুত জল বার করতে সমস্যা হতে পারে। সেই কারণেই সব ক’টি পাম্প ঠিক রাখা দরকার।
নিকাশি দফতরের আধিকারিকেরা জানান, বর্ষার সময়ে টানা জল বার করতে গিয়ে অনেক সময়ে পাম্পের যন্ত্রাংশ বিগড়ে যায়। তার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, মোট পাম্পের সংখ্যা ৩৮৯টি। পাম্পিং স্টেশনের সংখ্যা ৭৮টি। এর মধ্যে মূল শহর ছাড়াও শহরতলির পাম্পিং স্টেশনও রয়েছে। কোনও ভাবে কোথাও যাতে পাম্প অচল না থাকে তার জন্যই বিশেষ ভাবে প্রতিটি পাম্পের উপরে নজরদারি রাখা হয়। এক আধিকারিক জানান, অচল পাম্পের সংখ্যা কয়েক বছর আগে সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টির কাছাকাছি থাকত। ক্রমাগত নজরদারির ফলে তা অনেক কমেছে।
পুর কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, বৃষ্টির সময়ে শহরে জোয়ারের জল প্রবেশ করলে তা পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফের গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার জন্য ছ’টি লিফটিং পাম্প বসানোর কথা। তার মধ্যে নিমতলা এবং বেহালার ক্যানাল রোডে আপাতত দু’টি লিফটিং পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। লকডাউনের জন্য লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনি, রথতলা বাজার, নাকতলা এবং কুঁদঘাটে বাকি পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ আটকে রয়েছে।