ফাইল চিত্র।
বিধাননগরের পুরভোটের দিন ঘোষণা হতেই প্রার্থী হওয়া নিয়ে কোন্দল শুরুর অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।
ওই পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর চামেলি নস্করকে প্রার্থী করা যাবে না, এই দাবিতে মঙ্গলবার সকালে জ্যোতিনগর এলাকায় বিক্ষোভ দেখান একদল তৃণমূল সমর্থক। তাঁদের দাবি, চামেলি কিছু কাজ করেছেন ঠিকই। কিন্তু, তিনি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন। মানুষের সমস্যায় তাই তাঁকে সব সময়ে পাওয়া যায়নি। নিউ টাউন তৃণমূলের যুব সহ-সভাপতি তাপস রায়ের মতে, ‘‘আমরা চাই, ২১ নম্বর ওয়ার্ডেরই কোনও বাসিন্দাকে প্রার্থী করা হোক। তা জানিয়ে তৃণমূল ভবনে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি জানিয়েছি স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়কেও।’’ চামেলির দাবি, ‘‘গত কয়েক বছরে এলাকায় কী কাজ করেছি, তা মানুষ জানেন। রাস্তাঘাট থেকে নিকাশি, সব কিছুরই উন্নতি হয়েছে। এমনকি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কাজ এই ওয়ার্ডে হচ্ছে। দল কাকে টিকিট দেবে, সেটা দলের সিদ্ধান্ত।’’
শুধু ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া নিয়েই নয়, আসন্ন বিধাননগর পুরভোটে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কারা টিকিট পাবেন, সেই নিয়েও চলছে জলঘোলা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযোগ, এলাকার বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন। এমনকি টাকা নিয়েও পুরভোটে প্রার্থী করার অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে।
যা শুনে তাপসবাবুর দাবি, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি মেয়েকেও প্রার্থী করার কথা ভেবেছি। তা হলে কি এ বার বলা হবে, তার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছি? এলাকার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী এবং দলের নির্দেশ মেনেই প্রার্থী তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেখানে স্বচ্ছতা থাকছে।’’