প্রতীকী ছবি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে মেট্রোয় নিরাপত্তা বাড়াতে নজরদারিতে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন, মেট্রো ভবনের পাশাপাশি মেট্রোর ইয়ার্ডেও নিরাপত্তা এবং নজরদারি বাড়ছে। গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডগ স্কোয়াডকেও।
মেট্রো সূত্রের খবর, বুধবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বিভিন্ন স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ব্যাগ পরীক্ষার জন্য স্ক্যানার ব্যবহারেও কড়াকড়ি বেড়েছে। ভিড়ের কারণে দমদম এবং কালীঘাটের মতো স্টেশনে বছরভর বিশেষ নিরাপত্তার বেষ্টনী থাকে। সেখানে মেট্রোর প্রবেশপথ ও যাত্রীদের যাতায়াতের পথে নজরদারি আগের তুলনায় বাড়ছে। সূত্রের খবর, ওই দিন সাদা পোশাকে বিশেষ নজরদারি চালাবে রেলরক্ষী বাহিনী। শিশু এবং মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আরপিএফের মহিলা কর্মীদের বিশেষ দল থাকবে বিভিন্ন ট্রেনের কামরায়। এ ছাড়াও, যে কোনও বিপত্তি সামাল দিতে থাকবে আরপিএফের কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি। যে কোনও প্রয়োজনে ওই সশস্ত্র বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছবে। মেট্রোর কারশেড, পিট লাইন, ইয়ার্ড এবং সুড়ঙ্গে যে কোনও অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা এড়াতে কয়েক রাত সেখানে টহলদারি এবং তল্লাশি চলবে। ওই কাজে পুলিশ কুকুরদেরও কাজে লাগানো হবে।
তবে কাল, ২৬ জানুয়ারি মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা কমছে। সাধারণত সপ্তাহের কাজের দিনে ২৭৬টি মেট্রো চলে। ওই দিন তার অর্ধেক (১৩৮টি) ট্রেন চলবে। এর মধ্যে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলবে ১৩৫টি ট্রেন। সকালে পরিষেবা শুরু হবে ৭টায়। প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষ, দমদম এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে সকালের প্রথম ট্রেন ছাড়বে ৭টায়। রাতের অন্তিম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে। কবি সুভাষ এবং দমদম স্টেশন থেকে রাতের শেষ মেট্রো ছাড়বে ৯টায়। তবে ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় ওই দিন দু’টি ট্রেনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি থাকবে।
সকালের দিকে ১৫ মিনিট অন্তর এবং দিনের অন্য সময়ে ৮-১০ মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন মিলবে। শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করেই যাত্রীরা মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।