প্রতীকী ছবি।
পুলিশকে ফাঁকি দিতে মাথায় হেলমেটের সঙ্গে মুখ ঢাকা ছিল কাপড় দিয়ে। কিন্তু একাধিক ছিনতাইয়ের পরে ফের একই পোশাকে অপরাধ করতে পুরনো এলাকায় এসেছিল দুষ্কৃতীরা। সেটাই কাল হল তাদের। ছিনতাইবাজদের ওই পোশাকই তাদের ধরিয়ে দিল পুলিশের হাতে।
অন্য একটি ঘটনায় ব্ল্যাক টেপে নম্বর প্লেট ঢেকে সেই মোটরবাইক নিয়ে ছিনতাই করে পালিয়ে গিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নিজেদের দাড়িও কেটে ফেলেছিল তারা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সিসিটিভি-র ছবি এলাকায় বিলিয়ে দিয়ে তাদের খোঁজ পেয়ে গেল পুলিশ। রবিবার পাকড়াও করা হয়েছে মোবাইল ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ওই দুই দুষ্কৃতীকে।
লালবাজার জানিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি হরিদেবপুরের। ওই ঘটনায় ধৃতদের নাম শেখ রাজীব আলি এবং শেখ সুরজ ওরফে রাকেশ। দু’জনেরই বাড়ি বজবজে। তাদের জেরা করে রবিবার রাতে বজবজের বাসিন্দা দীপঙ্কর মিদ্যা নামে আর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে মেলে ছিনতাই করা একটি সোনার হার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিদেবপুর থানার মহাত্মা গাঁধী রোড সংলগ্ন এলাকায় এক মহিলার গলার হার ছিনিয়ে পালায় দুই
বাইক-আরোহী দুষ্কৃতী। রাতেই ওই মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। তাতে দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বরটি স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছিল না। তবে তদন্তকারীরা দেখতে পান, আরোহী দু’জনের
মাথাতেই রয়েছে হেলমেট। চালকের মুখ সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা। তার পরনে ছিল নীল রঙের টি-শার্ট। আর পিছনে থাকা যুবকের টি-শার্টের রং ছিল সবুজ। রবিবার রাতে হরিদেবপুরের সোদপুরে গাড়িতে টহল দিচ্ছিলেন দুই পুলিশকর্মী। তাঁরা দেখতে পান, একটি মোটরবাইকে দুই যুবক যাচ্ছে। তাদের পরনে সিসিটিভি-তে দেখা সেই ছিনতাইবাজদের পোশাক। পুলিশ বাইকের পিছু নিলে দুই যুবক পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়ে যায়। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা দাগি ছিনতাইবাজ।
এ দিকে, রবীন্দ্র সরোবর এলাকার ঘটনায় ধৃতদের নাম অমিত রজক ও প্রকাশ প্রসাদ। পুলিশ জানায়, গত সপ্তাহে সাফারি পার্কের সামনে ট্যাক্সির অপেক্ষা করছিলেন এক মহিলা। অমিত ও প্রকাশ বাইকে চেপে এসে তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া দুষ্কৃতীদের ছবি এলাকায় ছড়িয়ে দেয় পুলিশ। তা থেকেই খোঁজ মেলে দু’জনের।