পুলিশের হাতে গ্রেফতার অভিযুক্তেরা। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতার বুকে ভুয়ো চাকরি চক্রের হদিস। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ যুবক-যুবতীদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সল্টলেকের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই এই সংস্থার মালিক-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। শেখ আফতাব নামে এক ২২ বছরের তরুণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব পূর্ব বর্ধমানের নতুনগঞ্জের বাসিন্দা। ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পাশ করার পর থেকেই তিনি চাকরির জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখে, সল্টলেক সেক্টর-৫-এর ‘কলকাতা ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল স্টাডিজ]’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন আফতাব। সংস্থার তরফে তাঁকে চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে বিমানবন্দরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকাও চাওয়া হয় তাঁর কাছে। সংস্থার পক্ষ থেকে আফতাবকে আশ্বাস দেওয়া হয়, তাঁর নামে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শংসাপত্র-সহ বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করা হবে। আর সেই সব ভুয়ো শংসাপত্রের ভিত্তিতেই তাঁকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। এর পর তাঁর কাছ থেকে ৪৬ হাজার টাকাও নেয় ওই সংস্থা। কিন্তু আফতাবের অভিযোগ, জুলাই মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁকে কোনও চাকরি দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত নিতে তিনি সংস্থার অফিসে গেলে তাঁকে সেখান থেকেও বার করে দেওয়া হয়। হুমকিও দেওয়া হয়।
এর পরই ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার দ্বারস্থ হন আফতাব। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সংস্থার মালিক সুমন মণ্ডল এবং বৃষ্টি দাস-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংস্থার অফিস থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল, কম্পিউটার এবং জাল কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের আজ আদালতে হাজির করানো হবে।