—ফাইল ছবি
ঘরের মেঝেতে বসে রয়েছেন ছিয়াত্তর বছরের এক বৃদ্ধা। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। মেঝে ভেসে যাচ্ছে মল-মূত্রে। এক প্রতিবেশীর থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করল সিঁথি থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্বস্তিকা ভট্টাচার্য নামের ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধারের পরে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। আপাতত তিনি সুস্থ। তাঁর ছেলে কলকাতায় থাকেন। দুই মেয়ে থাকেন শহরের বাইরে। সিঁথির কালীচরণ ঘোষ রোডে একটি আবাসনের একতলার ফ্ল্যাটে একাই থাকেন স্বস্তিকাদেবী। তাঁকে দেখাশোনার জন্য এক জন আয়া থাকতেন। তবে ইদানীং তিনি থাকছিলেন না। ফলে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সিঁথি থানায় খবর আসে, সকাল থেকে ঘরের দরজা খুলছেন না স্বস্তিকাদেবী। প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাচ্ছেন না। পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় বৃদ্ধার ছেলে দীপঙ্করকে। পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটে ঢোকার কোল্যাপসিবল গেট ও কাঠের দরজা, দুটোই বন্ধ ছিল। বারবার ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও কোনও সাড়া মিলছিল না। শেষে দরজা ভাঙে পুলিশ।
ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে, শোয়ার ঘরের মেঝেতে স্বস্তিকাদেবী বসে রয়েছেন। চার দিকে মল-মূত্র ছড়িয়ে রয়েছে। ক্ষীণ গলায় কথা বলছেন বৃদ্ধা। পুলিশকে তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোরে শৌচাগারে যাবেন বলে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। কিন্তু আচমকা পড়ে যান। কোনও ভাবে আর উঠতে না পেরে মেঝেতেই বসেছিলেন স্বস্তিকাদেবী। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে সিঁথিতে আসেন বৃদ্ধার ছেলে দীপঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর স্বস্তিকাদেবীর ঊরুর হাড়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে।