যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের অগস্ট মাসে র্যাগিংয়ের জেরে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি কারণ দর্শানোর (শো-কজ়) নোটিস জারি করা হবে বলে শুক্রবার জানালেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত।
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা-র পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং: প্রবণতা, প্রতিকার ও আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ভাস্কর। পরে তিনি বলেন, ‘‘শো-কজ়ের চিঠি খুব শিগগিরিই দেওয়া হবে। আইনের সব দিক খতিয়ে দেখেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ এক বছর হতে চললেও ছাত্র-মৃত্যুর সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিনের আলোচনাসভায় সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, ‘‘মৃত ছাত্রের বাড়ির লোকজনকে আমরা আশ্বাস দিয়েছিলাম, দোষীদের বিরুদ্ধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কাউকেই এখনও শাস্তি দিতে পারিনি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই কোনও পদক্ষেপ করতে পারব।’’
গত অগস্ট মাসের ওই মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হস্টেল নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়ার পারিবারিক আয় মাসে ১৫ হাজার টাকার কম, ভর্তির সময়েই তাঁদের স্পট ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ক্লাস শুরুর আগেই তাঁদের হস্টেলে ঘর দিয়ে দেওয়া হবে। হস্টেলের কোনও আবাসিককে সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হবে না। তবে, থাকবেন ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র নিয়ম মেনে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই হস্টেলে ‘সিনিয়র’ পড়ুয়ারা ঢুকতেই পারবেন না।
এ দিনের আলোচনাসভার অন্যতম বক্তা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মনস্তত্ত্ব বিভাগের প্রধান গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোন পড়ুয়া কিছুটা ‘দুর্বল’, কোথায় তাঁর সমস্যা হচ্ছে, কেন কোনও পড়ুয়া সঙ্কোচে গুটিয়ে থাকছেন— এই বিষয়গুলি শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে হবে।