ছবি পিটিআই।
দিন পনেরো আগেই সরকারি নির্দেশে খুলেছিল শহরের শপিং মলের দরজা। কিন্তু সে ভাবে ভিড় হয়নি এই ক’দিন। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে গণপরিবহণ চালু হওয়ার পরেও বাস-ট্যাক্সির অভাবে ‘ফুটফল’ খুব একটা বাড়েনি শহরের শপিং মলগুলিতে। এ দিন বাদ সেধেছে বৃষ্টিও। সংক্রমণ রুখতে এখনও বিধিনিষেধের কড়াকড়ি থাকলেও ১ জুলাই থেকে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো শপিং মলগুলিতে কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ এবং সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়েছিল। এ দিন থেকে গণপরিবহণ চালু হওয়ায় ‘ফুটফল’ বাড়বে বলেই আশা করেছিলেন শহরের একাধিক শপিং মল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ দিন পথে বাস-ট্যাক্সির সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। ফলে তেমন ভিড় হয়নি শপিং মলে। এর পাশাপাশি দুপুরের তুমুল বৃষ্টির কারণেও অনেকেরই শপিং মলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
এ দিন থেকে বিউটি পার্লার খুলে যাওয়ায় অনেকেই সেই কারণে শপিং মলে যান। সন্ধ্যার দিকে সাউথ সিটি, অ্যাক্রোপলিস, কোয়েস্ট, মণি স্কোয়ার-সহ একাধিক শপিং মলে কিছুটা লোকজন হয়। কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে ঘুরতে আসা সুনন্দা ভট্টাচার্য নামে এক তরুণী বললেন, ‘‘রাস্তায় বাসই তো নেই! ঘণ্টাখানেক দাঁড়ালে তবে দু’-একটি সরকারি বাস ও ট্যাক্সির দেখা মিলছে। সকলের পক্ষে তো নিজের গাড়িতে করে শপিং মলে আসা সম্ভব নয়।’’
তবে শহরের সব শপিং মল কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, এ বার থেকে সন্ধ্যা ৬টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার সরকারি অনুমতি মেলায় সপ্তাহান্তে কিছুটা হলেও ভিড় বাড়বে। কসবার অ্যাক্রোপলিস মলের জেনারেল ম্যানেজার কে বিজয়ন এ দিন বলেন, ‘‘গত ১৫ দিনে রোজ গড়ে ৭২০০ ‘ফুটফল’ হয়েছে। আজ থেকে একটু ভিড় হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি পুরো দিনটাই শেষ করে দিল। তবে গণপরিবহণ চালু হওয়ায় সপ্তাহান্তে ভিড় যে বাড়বে, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’’ অন্য দিকে, সাউথ সিটি মলের জেনারেল ম্যানেজার দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘গণপরিবহণ চালু হওয়ায় অন্য দিনের তুলনায় ভিড় বেড়েছে। এ ছাড়া রাত ৮টা পর্যন্ত শপিং মল খোলা থাকায় অনেকেই সন্ধ্যার দিকে এসেছেন।’’ কিন্তু ভিড় বেশি বাড়লে তো সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়বে? দীপ জানাচ্ছেন, সরকারি বিধিনিষেধের সঙ্গে কোনও আপস করা হচ্ছে না। শপিং মলে আসা প্রত্যেকে যাতে দূরত্ব-বিধি মেনে চলেন, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।