প্রতীকী ছবি।
করোনার বহু আগেই দেশে গাড়ি বিক্রি কমছিল অর্থনীতির ঝিমুনিতে। গত বছর প্রথম দফার সংক্রমণের পরে উৎসবের মরসুম থেকে যখন বিক্রি বাড়ছে, তখনই দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে ফের তলিয়ে যায় ব্যবসা। বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে কিছুটা উঠেছে জুনে। তাই সব সংস্থারই পাইকারি বিক্রি (ডিলারদের কাছে সংস্থার বিক্রি) গত মাসে বেড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তা চাকা ঘোরার ইঙ্গিত কি না সন্দেহ। কারণ, গত বছরের জুন কিংবা এ বারের মে মাসে কম বিক্রির নিচু ভিতের উপর দাঁড়িয়েই জুনের বিক্রির তুলনামূলক এই হিসেব।
মারুতির বিক্রি মে-র থেকে জুনে বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তা বেশ কম। মে-তে হুন্ডাই মোটর ভারতে ২৫ হাজারটি গাড়ি বেচেছিল। জুনে ৪০ হাজারের বেশি। মে-র চেয়ে জুনে টাটা মোটরসের বিক্রি প্রায় ৭৮% বেড়েছে। টয়োটা কির্লোস্কর মোটর গত বছরে জুনে ৩৮৬৬টি গাড়ি বিক্রি করলেও এ বারে করেছে ৮৮০০টিরও বেশি। তবে মে মাসে করেছিল ৭০৭টি। হোন্ডা, কিয়া মোটর, অশোক লেল্যান্ড, এমজি মোটরের বিক্রিও বেড়েছে। কিন্তু এ সবই নিচু ভিতের নিরিখে।
গাড়ি সংস্থাগুলির দাবি, জমে থাকা চাহিদায় ভর করে ক্রেতার আগ্রহ চোখে পড়ছে। বিধিনিষেধ উঠে গেলে আগামী উৎসবের মরসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তাই আশাবাদী তারা। তবে ভয় বহাল তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। দু’চাকার বাজারে বজাজ অটোর বিক্রি গত বছরের জুনের থেকে এ বার বেড়েছে মাত্র ৭%। টিভিএসের বিক্রি মে-র তুলনায় জুনে বেড়েছে ৫১%।