Medical Negligence

কলকাতার হাসপাতাল থেকে উধাও কাটা আঙুল, হদিশ পেতে রোগীর পরিবার থানায়

হাওড়ার হাসপাতাল থেকেই নিয়ম মেনে কাটা আঙুল বরফ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় দেখা গেল কাটা আঙুল গায়েব! হাসপাতালে তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া গেল না সেই আঙুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ১৭:৪৬
Share:

নীলোৎপল চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।

বাইক দুর্ঘটনায় কাটা গিয়েছে আঙুল। সেই আঙুল নিয়ে নীলোৎপল চক্রবর্তী দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে বলা হয়, পরের দিন সকালে অস্ত্রোপচার করা হবে। জুড়ে দেওয়া হবে কাটা আঙুল। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সময় দেখা গেল কাটা আঙুল গায়েব! হাসপাতালে তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া গেল না সেই আঙুল। শেষমেষ কাটা আঙুল খুঁজতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিবার।

Advertisement

বুধবার দুপুরে হাওড়ার ফোরশোর রোড দিয়ে বাইক চালাচ্ছিলেন হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা নীলোৎপল। বছর পঁয়ত্রিশের নীলোৎপল পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, রং প্রস্তুতকারী একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর কাকা দীপকরঞ্জন চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বুধবার বাইক নিয়ে পড়ে গিয়ে সম্ভবত ক্লাচের ফাঁকে আটকে থেঁতলে কেটে গিয়েছিল নীলোৎপলের বাঁ হাতের মধ্যমা।” তিনি আরও জানান, নীলোৎপল নিজেই সেই আঙুল কুড়িয়ে কাগজে মুড়ে চলে যান হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানকার এক প্লাস্টিক সার্জেন তাঁকে পরামর্শ দেন, একবালপুরে ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে। চিকিৎসক নিজে ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন: এখনও ‘রোগ নির্ণয়’ হয়নি, উল্টোডাঙা উড়ালপুল নিয়ে আরও ভোগান্তির আশঙ্কা

Advertisement

হাওড়ার হাসপাতাল থেকেই নিয়ম মেনে কাটা আঙুল বরফ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। সেই কাটা আঙুল নিয়ে বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন নীলোৎপল। দীপকবাবু বলেন, ‘‘ভর্তির পর ওই চিকিৎসক জানান যে, তিনি খুব ক্লান্ত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যে হেতু কাটা অঙ্গ জুড়তে হয়, তাই তিনি ঠিক করেন বৃহস্পতিবার সকালে অস্ত্রোপচার করবেন।” সেই অনুযায়ী এ দিন সকালে আটটা নাগাদ অপারেশন থিয়েটারেরও নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। আর তখনই ধরা পড়ে কাটা আঙুল নেই! দীপকবাবুর অভিযোগ, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলার পর তন্ন তন্ন করে খোঁজা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়। তার পরেও হদিশ মেলেনি ওই আঙুলের।” এ দিন দুপুর ২টো পর্যন্ত আঙুলের খোঁজ না পাওয়ার পর চিকিৎসক জানিয়ে দেন, এর পর আঙুল পেলেও জোড়া যাবে না। তার পেরই রোগীর পরিবার যান আলিপুর থানায়। সেখানে তাঁরা ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পরেই বোঝা যাবে, অভিযোগের কতটা সারবত্তা রয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীকে গাড়ি তুলে নিয়ে টাকা-সোনা লুঠ, গ্রেফতার পুলিশকর্মী-সহ তিন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement