জলমগ্ন ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দহনের পর মিলেছে স্বস্তি। প্রায় দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহরের বহু রাস্তা। উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন রাস্তা এবং মহাত্মা গান্ধী রোডে জল জমে যায় সোমবারের বৃষ্টিতে। জল জমেছে বরাহনগর পুরসভার অন্তর্গত বিটি রোড সংলগ্ন এলাকাতেও। এর ফলে ওই সব রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বৃষ্টির ফলে উত্তর কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়লেও তৎপরতার সঙ্গে সেই জল সরিয়ে ফেলায় উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহের দাবি, “সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে, রাত পর্যন্ত আমরা শহরের সর্বত্র জল নামাতে সক্ষম হয়েছি।”
জলমগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। —নিজস্ব চিত্র।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ৮৭, পামারবাজারে ৪৯, ধাপা ৬৪, উল্টোডাঙায় ৫০, তপসিয়ায় ৬০, ঠনঠনিয়ায় ৩৯, মানিকতলায় ৫৭, বীরপাড়ায় ৪৬, দত্তবাগানে ৫৯, বেহালায় ৬০.৮, জিঞ্জিরাবাজারে ৫৩, গার্ডেনরিচে ৫০ এবং পোদিরহাটিতে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
জলমগ্ন বিটি রোড। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্বাভাস মতোই সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলার বেশির ভাগ অংশ ভিজেছে। ঝড়বৃষ্টি হল হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায়। অন্য দিকে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারেও হয়েছে বৃষ্টি। সব জায়গাতেই বৃষ্টির সঙ্গে চলেছে ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে কলকাতায় ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ৭৪ কিলোমিটার। রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৭ কিলোমিটার।
মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সেখানে কমলা সতর্কতা জারি। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায়। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।