—প্রতীকী চিত্র।
ফের শহরে মরণোত্তর অঙ্গদান হল শনিবার। ব্রেন ডেথের পরে দুই তরুণের জোড়া অঙ্গদানে নতুন জীবন ফিরে পেলেন সাত জন রোগী। চিকিৎসকদের কথায়, ‘‘এমন ভাবে সকলে মরণোত্তর অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতন হলে অনেক রোগী নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবেন।’’ শুক্রবারও এক প্রৌঢ়ার মরণোত্তর অঙ্গদান হয়েছে।
এ দিন মরণোত্তর অঙ্গদান হয়েছে এসএসকেএম এবং অ্যাপোলো হাসপাতালে। যে সাত জনের শরীরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জনের হয়েছে ভিন্ রাজ্যে। জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামের টাকাপুরার বাসিন্দা, পেশায় পার্শ্বশিক্ষক শ্যামসুন্দর দাস (৩৮) স্কুল ছুটির পরে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন। তখন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক ব্যক্তি বাইকে করে এসে ধাক্কা মারেন শ্যামসুন্দরকে। ছিটকে পড়ে তিনি মাথায় গুরুতর চোট পান। তাঁকে প্রথমে নন্দীগ্রামের স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই দিনই এসএসকেএমের রেড জ়োনে ভর্তি করা হয় শ্যামসুন্দরকে।সূত্রের খবর, ৮ ডিসেম্বর সকালে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ওই যুবকের ব্রেন ডেথ হচ্ছে। তখন থেকে শুরু হয় মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে পরিজনদের বোঝানোর পালা। সন্ধ্যায় ব্রেন ডেথ ঘোষণার পরে পরিজনদের সম্মতি পেলে ‘রিজিয়োনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজ়েশন’ (রোটো)-এর মাধ্যমে শুরু হয় গ্রহীতার খোঁজ। এ দিন দুপুর থেকে শুরু হয় অঙ্গ সংগ্রহের কাজ। শ্যামসুন্দরের ফুসফুস গিয়েছে গুরুগ্রামের মেদান্তা হাসপাতালে, কিডনি পেয়েছেন চার্নক ও আলিপুর কমান্ড হাসপাতালের দুই রোগী, যকৃৎ পেয়েছেন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন এক রোগী।
অন্য দিকে, ৩ ডিসেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বরাহনগরের তারক দত্ত (৩৫)। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ৮ ডিসেম্বর তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেই রাতেই তাঁর ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। পরিজনেরা সম্মতি দিলে রোটোর মাধ্যমে গ্রহীতার সন্ধান মেলে। তারকের কিডনি পেয়েছে আর এন টেগোর ও আলিপুর কমান্ড হাসপাতাল, যকৃৎ প্রতিস্থাপন হয় অ্যাপোলোয় চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরে।