কাউকে জোর করে দলে নেব না, বললেন মমতা। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র সাত-আট জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে পুনরায় সর্বভারতীয় সভানেত্রী পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর মমতা বলেন, ‘‘আমি এখানে আসার পথে শুনলাম, বিজেপি থেকে আরও সাত-আট জন বিধায়ক আমাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন। তাঁরাও আমাদের সঙ্গে উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান। তা করতেই পারেন। কিন্তু, আমরা কাউকে জোর করে দলে নেবে না।’’
উল্লেখ্য, বিজেপি থেকে ইতিমধ্যেই পাঁচ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়-সহ বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবি সত্যি হলে তা যথেষ্ট চিন্তায় রাখবে বিরোধী দলকে।
তবে মুকুল-সহ যে বিধায়কেরা দলবদল করেছেন, তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান দেখে আর কেউ দলবদল করবেন না বলেই দাবি করেছেন বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যরা। কারণ, ইতিমধ্যে ওই পাঁচ বিধায়ককে পদ থেকে সরানোর দাবি নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করার পাশাপাশি আদালতেও গিয়েছে বিজেপি। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুকুলের বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি-র ওন্দার বিধায়ক অমর শাখা বলেন, ‘‘যে রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে বিজেপি-র দয়ায়, তাদের দলে যোগ দেওয়ার কথা আমরা ভাবতেই পারি না। আমাদের নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণী না থাকলে আজ এ দিন দেখতে পেতেন না ওঁরা। তাই তৃণমূলের মুখে এ কথা মানায় না।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক জয়ী হলেও, পরে সাংসদ পদে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন নিশীথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার। পরে আরও পাঁচ বিধায়ক দলত্যাগ করায় বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা বর্তমানে ৭০।