—ফাইল চিত্র।
নাকা তল্লাশির পাশাপাশি যত্রতত্র গাড়ি পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে রাতের নজরদারি। বর্ষশেষ বা বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও নজরদারি আঁটোসাঁটো করতে চলেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
এ বারে করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি সরকারি নিয়ম যাতে সকলে মেনে চলেন, সে দিকে কড়া নজর থাকবে বলে দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন রেস্তরাঁ, বিনোদন পার্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সেখানে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেছে পুলিশ।
এ বছরে পরিস্থিতি ভিন্ন। কোভিড আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে ইকো পার্ক খুলেছে। তুলনায় কম হলেও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বড়দিনে ইকো পার্কে গিয়েছিলেন প্রায় ৫৬ হাজার দর্শক। গত কয়েক দিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে ইকো পার্কে। ফলে বর্ষশেষ বা বর্ষবরণকে ঘিরে সেই ভিড় বাড়তে পারে বলে অনুমান।
নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) সূত্রের খবর, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা-নজরদারি, পার্কিং ব্যবস্থাকে ঘিরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ফুটপাতে ব্যারিকেড, পার্কের ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশি নজরদারি, বাস ও গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবস্থা। অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার-সহ একাধিক পরিকল্পনা কার্যকরী করা হয়েছিল। সেই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
শুধু ইকো পার্কই নয়, বিধাননগর পুর এলাকায় আরও কয়েকটি বিনোদন পার্ক ঘিরেও থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা। ইকো পার্কের পরে লেক টাউন সার্ভিস রোডেও লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছিল। সেখানে নিরাপত্তা-নজরদারিতে জোর বাড়ানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পাশাপাশি অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে, রাতে বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক বা গাড়ি চালানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে। লাগাতার অভিযানের পরে সেই ঘটনা কমেছে বলে দাবি পুলিশের। তবে বর্ষশেষের রাতে সে দিকেও বাড়তি নজরদারি থাকবে।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ জানান, প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে একাধিক বিনোদন পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্ত নিয়ম নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে আদালতে যে নির্দেশ দিয়েছে সে অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে।