মোট ১২ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকতেন প্রতি শিফটে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিক্ষোভ সামলাতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে। পুলিশ সূত্রের খবর, সকাল ৭টা থেকে রাত পর্যন্ত দুই শিফটে এই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি শিফটে এক জন করে এসি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে সেখানে নজরদারি চালানো হবে।
আগে নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের বাইরে চারটি বুথে তিন জন করে, অর্থাৎ মোট ১২ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকতেন প্রতি শিফটে। সেই জায়গায় শুক্রবার থেকে এক জন এসি-র পাশাপাশি দু’জন করে ইনস্পেক্টর, ১২ জন অফিসার এবং ৩০ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। যাঁরা দু’টি শিফটে উপ-হাইকমিশনের বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এমনকি, কাউকে ভিতরে ঢুকতে হলে তাঁকে তল্লাশি করার পরেই ছাড়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অশান্ত পরিবেশ তৈরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বেকবাগানে উপ-হাইকমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যায় বিজেপি-সমর্থিত একাধিক হিন্দু সংগঠন। ওই দফতরের কাছাকাছি পৌঁছলে পুলিশ তাদের পথ আটকায়। পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের অফিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাতেই পুলিশের সঙ্গে গোলমাল বাধে তাঁদের। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে মাথা ফাটে কড়েয়া থানার এক পুলিশ অফিসারের। পরে বিরাট পুলিশবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেও এলাকায় উত্তেজনা ছিল রাত পর্যন্ত।
সেই ঘটনার পরে ফের বিক্ষোভের আশঙ্কায় লালবাজারের তরফে সেখানকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। উপ-হাইকমিশন সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তাতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। লালবাজার জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আপাতত এই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা এখন বহাল থাকবে। শুক্রবার একই কারণে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ।