প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনের মাঝেই বন্ধ হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র। — ফাইল ছবি।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনের মাঝেই বন্ধ হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিতর্কিত তথ্যচিত্র। এসএফআইয়ের অভিযোগ, ইচ্ছা করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এর নেপথ্যে রাজ্য সরকারের ইন্ধন রয়েছে বলেই দাবি ওই বাম ছাত্র সংগঠনের। কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকার পর ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। এসএফআইয়ের দাবি, তাদের প্রতিরোধের সামনে পড়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানো হয়েছিল বিবিসির ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রটি। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা দেখানোর কথা ছিল। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তথ্যচিত্র শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টা পরেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর নেপথ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছাত্রবিরোধিতায় নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একই জায়গায় রয়েছেন, প্রেসিডেন্সির ঘটনা তারই প্রমাণ। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রেসিডেন্সিতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে মোদীকে নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো না যায়।’’ ময়ূখের দাবি, শুক্রবার মোদীকে নিয়ে তথ্যচিত্রটি মাত্র আধ ঘণ্টা দেখানো সম্ভব হয়, তার পরেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্সি রাজ্যের আওতায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে রাজ্যের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া এমন পদক্ষেপ অসম্ভব বলেই মনে করেন ময়ূখ।
এই তথ্যচিত্র দেখানোর জন্য আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছিল এসএফআই। তাদের তরফে জানানো হয়, প্রদর্শনের জন্য ব্যাডমিন্টন কোর্ট বুক করতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি ই-মেল করা হয়। তার পরেও শুক্রবার বিপত্তি। এ নিয়ে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সম্প্রতি বিবিসির এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে শোরগোল পড়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাম নেতৃত্ব অভিযোগ করে, ছবি প্রদর্শনের সময় বিজেপির ছাত্র সংগঠন এভিবিপি সদস্যরা পাথর ছোড়েন। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমেও তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানে বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং কংগ্রেসের পৃথক উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করে এবিভিপি এবং বিজেপি। সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পিনারাই বিজয়নের পুলিশ।