বছরখানেক ধরেই প্রতারণায় সামিল শিক্ষিকা

খিদিরপুরের ইংরেজি মাধ্যম মিশনারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে স্কুলেরই এক শিক্ষিকার প্রতারণা চক্রটি অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে একই ভাবে টাকা নিয়েছিল বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৬
Share:

খিদিরপুরের ইংরেজি মাধ্যম মিশনারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে স্কুলেরই এক শিক্ষিকার প্রতারণা চক্রটি অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে একই ভাবে টাকা নিয়েছিল বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। ছ’-সাত জন মহিলার হদিস মিলেছে, চাকরি দেওয়ার নামে যাঁদের থেকে ২ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়। সোমবারই গ্রেফতার হন শুচিস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায় ও জয়ন্তী বড়ুয়া। শুচিস্মিতা ওই স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। পুলিশের বক্তব্য, অন্তত বছর দেড়েক আগে চক্রটি ময়দানে নামে। টাকা দিলে চাকরি মিলবে— এ কথা চাউর হয়েছিল মুখে মুখে।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিজয়গড়ের বাসিন্দা মহুয়া সেনগুপ্তর স্বামী এলআইসি-র কর্মী। গত অগস্টে এক সহকর্মীর থেকে ওই ব্যক্তি জানতে পারেন, টাকা ডোনেশন নিয়ে নাম-কা-ওয়াস্তে ইন্টারভিউয়ের পরে খিদিরপুরের ওই স্কুলে চাকরি হয়ে যাবে। ফাঁদে পা দেন এলআইসি-র আর এক কর্মীও।

মহুয়াদেবীর কথায়, ‘‘এক স্কুলশিক্ষিকা নিজেই যখন টাকা নিচ্ছেন, তখন সন্দেহের কিছু ছিল না। গত ডিসেম্বরে স্কুলের লেটারহেডে ছাপানো, অধ্যক্ষা ও সচিবের স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়।’’ অভিযোগ, তত দিনে মহুয়াদেবীর স্বামী চার কিস্তিতে মোট ২ লক্ষ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। চক্রের পান্ডা শুচিস্মিতা সব সময়ে জয়ন্তীর পর্ণশ্রীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেন।

Advertisement

অভিযোগ, প্রথমে এ বছর ২ এপ্রিল মহুয়াকে স্কুলে যোগ দিতে বলেন শুচিস্মিতা। তার সাত দিন আগে হঠাৎ জানান, স্কুলের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যায় যোগদানের দিন জুলাইয়ে পিছিয়ে গিয়েছে। জুলাই থেকে পিছিয়ে সেপ্টেম্বর। পুজোর আগে বলা হয় ২০১৭-র জানুয়ারিতে স্কুলের নতুন পরিচালন সমিতি দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিয়োগ হচ্ছে না। তাতেই মহুয়া ও আরও কয়েক জন মহিলা বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন।

গোয়েন্দারা জানান, বিষয়টি স্কুলের গোচরে আসে বছরখানেক আগেই। তখনও ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কয়েক জন ওই স্কুলে যোগ দিতে যান। তার পরেও ওই শিক্ষিকা এত দিন কী ভাবে চাকরি করে গেলেন? স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় তাঁরা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারছিলেন না। স্কুলের আর কেউ চক্রে সামিল কি না, দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement