কয়লাঘাট ভবনের অগ্নিকাণ্ডে মৃত দমকলকর্মী অনিরুদ্ধ জানার স্মৃতিতে সাহসিকতার পুরস্কার চালু করতে চলেছে টাকি বয়েজ স্কুলের প্রাক্তনীদের সংগঠন ‘টিব্যাক’।
‘গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুল ফর বয়েজ টাকি হাউস’-এর ছাত্র ছিলেন অনিরুদ্ধ। ওই স্কুল থেকেই ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। প্রাক্তনীদের ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থসারথি সাহা বলেন, ‘‘অনিরুদ্ধের স্মৃতিতে চালু হওয়া সাহসিকতার এই পুরস্কার প্রতি বছর আমাদের স্কুলের এক জন করে পড়ুয়াকে দেওয়া হবে।’’
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তথা প্রাক্তনীদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট স্বাগতা বসাক বললেন, ‘‘এই পুরস্কারের সূত্রে অনিরুদ্ধের সাহসিকতার কথা আরও বেশি পড়ুয়া জানতে পারবে। ও পড়ুয়াদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিল।’’ তবে স্বাগতা জানান, তাঁদের বার বারই মনে হয়েছে, ওই বিধ্বংসী আগুনের মধ্যে কেন লিফট ব্যবহার করতে গেলেন ওঁরা? তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্কুলের পড়ুয়াদের জানিয়েছি, অন্যকে বিপদের হাত থেকে অবশ্যই বাঁচাতে হবে। কিন্তু নিজেও যাতে নিরাপদ থাক, সেটাও দেখতে হবে।’’
অনিরুদ্ধের বাবা মোহনলালবাবু জানালেন, ছেলের নামে সাহসিকতার পুরস্কার চালু হলে খুবই খুশি হবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট থেকেই এলাকায় খুব জনপ্রিয় ছিল আমার ছেলে। মানুষের বিপদে-আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ত। টাকি স্কুলে ও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েছে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ইনস্টিটিউশনে। দ্বাদশের পরে ভর্তি হয়েছিল গুরুদাস কলেজে। বুধবার অনিরুদ্ধের স্কুলের বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে এসেছিল। সকলে ওর সাহসিকতা নিয়েই কথা বলছিল। বিপদে কী ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ত, সেই প্রবণতার কথা বলছিল ওরা।’’
মোহনলালবাবু জানালেন, প্রতিদিনের কাজে বার বার সাহসিকতার প্রমাণ দিতে হত বলেই দমকল বিভাগের চাকরিতে খুব খুশি ছিলেন অনিরুদ্ধ।