ঘটনার সময় সায়ক। ছবি: সায়কের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
শুক্রবারের রাতটা আমার কাছে আতঙ্কের হয়ে থাকল! ভয়েরও!
কোনও কারণ ছাড়াই এ ভাবে যে গড়িয়াতে ভরা বাজারে দাঁড় করিয়ে কেউ আমাকে মারতে পারে, সেটাই ভাবিনি কখনও। কিছুক্ষণের জন্য তো মৃত্যুভয়ও টের পেলাম!
আমি পাটুলিতে থাকি। গড়িয়ায় প্রায়ই বাজার করতে যাই। সত্যি কথা বলতে কি গড়িয়া থেকেই বাজার করি আমরা। শুক্রবার রাতে স্কুটি নিয়ে বাজার করতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে আমার বন্ধু সুকান্ত কুণ্ডু ছিল।
স্কুটিটা পার্কিং-এ রেখে বাজার করছিলাম। হঠাৎই আমার স্কুটিতে কিছু মদ্যপ বাঁশ দিয়ে মারতে শুরু করে। তাদের মনে হয়েছিল, ওখানে স্কুটিটা রাখা ঠিক হয়নি। স্কুটি ভাঙচুর করছে দেখে, আমি গিয়ে বলি, কী প্রবলেম? গাড়ি রাখতে দেবেন না? ঠিক আছে। সরিয়ে নিচ্ছি। তখন অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে বলে, তুই এখানে দাঁড়া। তার পর রাস্তা থেকে বাঁশ তুলে সটান আমার বুকে মারে। সুকান্তকেও। চড় মারতে থাকে এলোপাথাড়ি। মদ খেয়ে ছিল বলে কতটা জোরে মারছে সে ব্যাপারে কোনও হুঁশ ছিল না ওদের। পিছন থেকে একটা লোক বন্দুক বের করে বলে, এখানেই মেরে দে। তখন তো মনে হচ্ছিল, আর বাঁচব না।
আরও পড়ুন, গড়িয়ায় ভরা বাজারে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, কিল-চড়-বাঁশ দিয়ে মার অভিনেতা সায়ককে
ওই মারপিটের মধ্যে অটোওয়ালারাও চলে আসে। তাদেরও দু’একজনের নাক ফাটিয়ে দেয় ওরা। আমি সমানে পাটুলি থানায় ফোন করছিলাম। কিন্তু ওরা সোনারপুর থানায় জানাতে বলে। যেহেতু গড়িয়া এলাকা সোনারপুর থানার আওতায়। ওদের তো আসতে সময় লেগেছিল।ওখান থেকেই আমাদের বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যায়স্থানীয় লোকেরাই। আমি সোনারপুর থানায় অভিযোগ করেছিলাম। আজ সকালে শুনলাম একজন গ্রেফতার হয়েছে।
সারা রাত বুকে ব্যথা হয়েছে। সকালে এক্স রে করালাম। এখনও রিপোর্ট পাইনি। তবে গড়িয়াতে যে এভাবে মারবে আমি কোনওদিন ভাবিনি। আর ওখানে বাজার করতে যাওয়ার সাহস নেই আমার। বেশি দাম দিয়ে হলেও পাটুলির ফ্লোটিং মার্কেট থেকেই এ বার বাজার করব।রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আমাকে তো মেরেও ফেলতে পারত…