আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
পর পর সাত দিন। ফের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা ১৮ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে যান আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বার হলেন প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা পর, রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। এই নিয়ে টানা সাত দিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের মুখোমুখি সন্দীপ। আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য সংগ্রহ পর্ব। বুধবার রাতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের গাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সন্দীপের গাড়ির চালককেও।
বুধবার সকাল ৯টা ১৫মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। বেরিয়েছিলেন রাত ১১টার পরে। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। গত শুক্রবার থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত কখনও ১০ ঘণ্টা, কখনও ১১ ঘণ্টা, তো কখনও আবার ১২-১৩ ঘণ্টা ধরে তাঁকে সিবিআই দফতরে থাকতে দেখা গিয়েছে। গত ছয় দিনের এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সিবিআইয়ের হাতে কি আরজি কর-কাণ্ডে নতুন কোনও তথ্য উঠে এসেছে? সে নিয়ে অবশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চুপ। তবে বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে সিবিআইয়ের।
জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব নিয়ে মুখ খোলেননি সিবিআই আধিকারিকরা। চুপ সন্দীপও। তদন্ত প্রক্রিয়া কত দূর এগিয়েছে? কী কী নতুন তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে? সন্দীপের থেকে কী তথ্য জানতে পেরেছে সিবিআই? সে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কি কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন সিবিআইয়ের আইনজীবী? সে দিকেই আপাতত নজর বাংলা তথা দেশের। শীর্ষ আদালতের শুনানিতে বৃহস্পতিবার কী কী তথ্য উঠে আসে, সে দিকে নজর রয়েছে আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকদেরও।
প্রসঙ্গত, আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সন্দীপকে ন্যাশনাল মে়ডিক্যালে সমপদে বসিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন। তা নিয়েও প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে হাই কোর্টের নির্দেশে নয়া দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়নি। ছুটিতে যেতে হয় তাঁকে। সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানির সময়েও সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। এই আবহে বুধবার তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করেছে রাজ্য।