প্রতীকী ছবি।
মোবাইলের নেটওয়ার্ক চলে গিয়েছিল। বাড়িতে বসে অনলাইনে মাত্র দশ টাকার রিচার্জ করাতে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল ২১ হাজার টাকা! যাঁর সঙ্গে এমনটা ঘটেছে, সেই ঋষিকল্প মুখোপাধ্যায় নিজে এক জন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। মোবাইল বা ইন্টারনেটের খুঁটিনাটি অন্যদের থেকে বেশি জানেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে বোকা বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা ঋষিকল্প বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে ‘রাজ তিন পাত্তি স্টার বে’ নামে একটি অ্যাকাউন্টে ওই টাকা গিয়েছে। নিজেকে মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করে যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, ট্রু-কলারে তাকে একটি মোবাইল পরিষেবা সংস্থার ‘কাস্টমার কেয়ার এগজিকিউটিভ’ হিসেবে দেখাচ্ছে। ঋষিকল্পের কথায়, “ট্রু-কলারের পরিচয় দেখেই আমি বিশ্বাস করে ফেলি।”
ঋষিকল্পের দাবি, সম্প্রতি তাঁর ওই মোবাইল নম্বরটি অকেজো হয়ে যায় এবং কেওয়াইসি জমা দিতে হবে বলে এসএমএস আসে। গত ২ নভেম্বর ফোন এলে ট্রু-কলার দেখে নিশ্চিত হন ঋষিকল্প। ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তি তাঁকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে কেওয়াইসি সংক্রান্ত নথি আপলোড করতে বলে।
ঋষিকল্পের অভিযোগ, “সেটা করার সময়ে এবং ডেবিট কার্ড দিয়ে দশ টাকা রিচার্জ করতে গিয়ে দেখি, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে পরপর টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। তখনও ফোনের অন্য প্রান্তে ওই ব্যক্তি রয়েছে। তাকে যখন বলি আমার এত টাকা কেন কেটে নেওয়া হচ্ছে, তখন সে আশ্বস্ত করে বলে, ওই টাকা আবার অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।”ঋষিকল্প জানিয়েছেন, হ্যাকারদের পাল্লায় পড়েছেন বুঝতে পেরে ওই অ্যাপটি বন্ধ করে দেন তিনি। মোবাইল খুলে দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ওই টাকা চলে গিয়েছে।