—ফাইল চিত্র।
সল্টলেকের এজে ব্লকের একটি বাড়ি থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধারের তিন দিন পরেও রহস্যের জট খুলতে পারল না পুলিশ। সূত্রের খবর, কঙ্কাল-কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও।
গত ১০ ডিসেম্বর সল্টলেকের ওই বাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হয়। তার আগে ওই বাড়ির গৃহকর্তা অনিল মহেনসরিয়া তাঁর বড় ছেলে অর্জুনের খোঁজ মিলছে না বলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর পরেই ওই বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলে ছাদ থেকে পূর্ণবয়স্ক মানুষের কঙ্কাল মেলে। গ্রেফতার করা হয় অনিলের স্ত্রী গীতা এবং ছোট ছেলে বিদুরকে। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার ফের সল্টলেকের ওই বাড়িতে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের জেরা করে যে সব তথ্য মিলেছে এবং তদন্তে যে সব সূত্র হাতে এসেছে, তা বিবেচনায় রেখে এ দিন ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই বাড়ির বিভিন্ন তলেও পরীক্ষা করে দেখেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ফরেন্সিক দল ফের ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করবে। এর পরেই সেখানে কী ভাবে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তা পুনর্নির্মাণের পথে হাঁটবেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় মহেনসরিয়া দম্পতির একমাত্র মেয়ে বৈদেহীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে এই ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ। কারণ, ঘটনার সময়ে তিনি সেখানে হাজির ছিলেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও সেই তথ্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যাচাই করা হবে। এর পাশাপাশি, কী নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি ছিল, তার বিভিন্ন দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া অনিল এবং গীতার আর্থিক অবস্থা কেমন ছিল এবং এর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, খুন করার পরে পোড়ানো হয়েছে অর্জুনকে। তবে কোন কারণে এই খুন, তা ঘটনার তিন দিন পরেও তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট নয়। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, এই ঘটনায় তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বেশ কিছু সূত্র মিলেছে, সেগুলি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে ময়না-তদন্ত এবং ফরেন্সিকের রিপোর্টের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।