প্রতীকী চিত্র।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চারা আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই কথা মাথায় রেখে শহরের সেফ হোমগুলি শিশুদের জন্য প্রস্তুত রাখতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই আলিপুরের ‘উত্তীর্ণ’ ও উত্তর কলকাতার পাইকপাড়ার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনের সেফ হোমে শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রেখেছে পুরসভা। পুরসভা পরিচালিত বাকি সেফ হোমগুলিতেও শিশু-চিকিৎসায় জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনের সেফ হোমে ৬০টি আলাদা ঘরে আক্রান্ত শিশু-সহ মাকে রেখে চিকিৎসার পরিকাঠামো সাজানো হয়েছে। ‘উত্তীর্ণ’ সভাঘরে ৪০০ শয্যার ব্যবস্থা রয়েছে। ওখানে চারটি তলাতেই বড় হলঘর রয়েছে। সেখানেও মা-সহ শিশুকে রাখার জন্য পুর স্বাস্থ্য দফতর আগাম পরিকল্পনা করে রেখেছে। থাকছে অক্সিজেন পার্লারের ব্যবস্থাও। পুরসভা সূত্রে খবর, আজ, সোমবার ‘উত্তীর্ণ’য় পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হবে। সেই আলোচনায় শিশুদের চিকিৎসার উপরে জোর দেওয়া হবে। এক পুর স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “রোগী না থাকায় উত্তীর্ণ ছাড়া পুরসভা পরিচালিত সমস্ত সেফ হোম এখন বন্ধ। উত্তীর্ণে ১৪ জন রোগী রয়েছেন। তৃতীয় ঢেউ আসন্ন ধরে নিয়ে সেফ হোমগুলিতে শিশুদের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
কলকাতা পুরসভার তথ্য বলছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনও পর্যন্ত শহর কলকাতায় বৃহস্পতিবার সংক্রমিতের সংখ্যা সব থেকে কম (৭০) ছিল। যদিও শুক্রবার তা বেড়ে দ্বিগুণ (১৪৬) হয়েছে। শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২৩। পুরসভা সূত্রের খবর, শিশুদের জন্য পুর চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’-এর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। আরও শিশুরোগ চিকিৎসকদের দিয়ে পুর
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করানো হবে বলে খবর।
পাশাপাশি সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে পুর আধিকারিকেরা সতর্ক করে জানাচ্ছেন, গত কয়েক দিনে করোনা-বিধির তোয়াক্কা না করেই ফের শহরবাসী মাস্ক না পরে ঘুরছেন। বাজারে ভিড় করছেন। এ রকম চললে ফল সকলকেই ভুগতে হবে। জনগণের কাছে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ
হাকিমের আবেদন, “সংক্রমণের প্রকোপ একটু কমেছে বলে কেউ আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন না। মনে রাখতে হবে, করোনা বিদায় নেয়নি। সকলের কাছে আবেদন, বাইরে বেরোলে মাস্ক পরুন। ভিড় করবেন না। দূরত্ব বজায় রাখুন।”