৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে হাম-রুবেলার প্রতিষেধক প্রদান। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে শুরু হচ্ছে হাম-রুবেলার প্রতিষেধক প্রদান। সেই কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত করতে এ বার গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবক বা ‘রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার’ (আরএমপি)-দেরও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ বিষয়ে সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
কাল, ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিষেধক প্রদান। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শুধু দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। রাজ্যে প্রাপকের সংখ্যা দু’কোটি ৩০ লক্ষ। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, অনেকের মধ্যে এই প্রতিষেধক নিয়ে সংশয় রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “গ্রামের প্রতিটি স্তরে যোগাযোগ থাকে আরএমপি-দের। সেই যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করে তাঁদের সন্তানদের প্রতিষেধক কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য ওঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনসমাজে ওঁদের গুরুত্বও বাড়ানো হচ্ছে।”
সম্প্রতি ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ়’-এর অধীনে ‘মেটাবলিক আনহেলদিনেস’ এবং ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার’-এর সমস্যা গ্রামীণ জনস্বাস্থ্যে কতটা প্রভাব ফেলছে, সেই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র গৃহীত হয়েছে লান্সেট জার্নালে। তাতে দেখানো হয়েছে, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকেরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বললেন, “এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক দিক। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদের প্রশিক্ষণ দিতে শেষ কয়েক বছরে সরকারও উদ্যোগী হয়েছে। ওঁদের কার্যকরী ভাবে নজরে রেখে জনস্বাস্থ্যের বৃত্তে যুক্ত করতে পারলে সরকারি পরিষেবাকে মানুষের কাছে আরও ভাল ভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।”
প্রতিটি স্কুলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদেরও। তাঁরাই অভিভাবকদের সচেতন করবেন এবং বোঝাবেন। প্রয়োজনে ধর্মীয় গুরু বা গোষ্ঠীর প্রধানদের মাধ্যমেও প্রচার চালাবেন তাঁরা। প্রতিষেধক নিয়ে গায়ে র্যাশ, জ্বর বা ব্যথা হলে প্রাথমিক চিকিৎসাও দেবেন ওই পরিষেবকেরাই। ‘প্রোগ্রেসিভ রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “জনগণের স্বার্থে সরকারি পরিষেবায় ওঁদের যুক্ত করা অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদের জনস্বাস্থ্যের কাজে আরও বেশি করে লাগানো হোক।”