রুবির মোড়ে দাঁড়িয়ে অটো। — ফাইল চিত্র।
পাম্পে গিয়েও সিএনজি পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ তুলে রাস্তায় বসে পড়লেন গাড়ির চালকেরা। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই অটোচালক। সোমবার গাড়ির চালকদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে যায় রুবির মোড়। যার জেরে সপ্তাহের প্রথম দিনেই ভোগান্তির শিকার হন অফিসযাত্রীরা। প্রায় ঘণ্টা তিন অবরুদ্ধ থাকার পর যানজট সরানোর কাজ শুরু করে পুলিশ।
কলকাতার অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা রুবির মোড়। বাইপাসের উপর এই রাস্তায় কমপক্ষে ২৫০ অটো আড়াআড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ায় অন্য সব বাস, ট্যাক্সিও আটকে যায়। চালকেরা রাস্তায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সব পেট্রল পাম্পে সিএনজি-র ব্যবস্থা করতে হবে।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রুটের অটো এসে জড়ো হয় রুবির মোড়ে। মূলত বাইপাসের একটা অংশ অর্থাৎ রুবি থেকে চিংড়িঘাটামুখী লেনটিতেই অবরোধ করেন গাড়িচালকেরা। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়ি যাতায়াত করতে পারছে না। বাস, ট্যাক্সি বা ক্যাবের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কসবা এবং আনন্দপুর থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু গাড়িচালকেরা নিজের দাবি থেকে সরতে নারাজ। বিক্ষোভে শামিল এক অটোচালকের কথায়, ‘‘সিএনজি-র জন্য প্রতি দিন অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে আসতে হয়। যে পাম্পগুলিতে সিএনজি পাওয়া যায়, সেগুলির বাইরে লম্বা লাইন থাকে। গ্যাস ভরার জন্য অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।’’
অন্য এক অটোচালকের কথায়, ‘‘গ্যাস ভরাতে এলে দিনের অনেকটা সময় নষ্ট হয়। ক্ষতি হয় ব্যবসায়।’’ তার পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘পাম্পের বাইরে গ্যাস ভরানোর জন্য গাড়ির লাইনে বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকাও বিপদ। পুলিশ এসে জুলুম করে। বিনা কারণে জরিমানার কাগজ হাতে ধরিয়ে দেয়। কোনও কথাই শোনে না।’’
অটো-সহ অন্যান্য গাড়িচালকদের দাবি, ‘‘এই পুলিশি অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।’’ বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। অন্য দিকে, বাসে বসে থাকা অনেক যাত্রীর কাছেই এই যানজটের কারণ স্পষ্ট নয়। সেই সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় পরীক্ষার্থীরা যানজটের কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব যান চলাচল স্বাভাবিক করার।