প্রতীকী ছবি
হাওড়ার শালিমারে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আটক করা আরপিএফ কর্মী সুকান্ত সাউকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ধার করা টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্যই ৩ জুন রাতে ৭৫ বছরের গুণনিধি সাউকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেছিল সুকান্ত।
তদন্তকারীরা জানান, প্রথমে ওই ব্যক্তি মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার যেখান থেকে গুণনিধির দেহ মিলেছে, ৩ জুন রাতে ওই আরপিএফ কর্মী মোটরবাইকে বৃদ্ধকে বসিয়ে সে দিকেই গিয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃদ্ধ বাড়ি না ফেরায় ৪ তারিখ পরিজনেরা ফোন করেছিলেন সুকান্তকে। বৃদ্ধের পরিবারের কাছে সে দাবি করে, ৩ তারিখ রাতে গুণনিধিকে বাড়িতে পাঠানোর জন্য শালিমার থেকে মোটরবাইকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে এক জায়গায় নামিয়ে দেয় সুকান্ত। তবে কোথায় নামিয়েছিল, তা স্পষ্ট করে বলেনি সে। এর পরেই গুণনিধির পরিবার গার্ডেনরিচ ও শিবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। শুক্রবার শিবপুর থানার পুলিশকে ওই আরপিএফ কর্মীর প্রসঙ্গও জানায় তারা। তার পরেই শালিমার রেল কোয়ার্টার্স থেকে তাকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। ৩ তারিখ রাতে বৃদ্ধকে শালিমারেই মোটরবাইক থেকে নামিয়েছিল বলে সুকান্ত পুলিশকে জানায়। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ দেখে, বৃদ্ধকে আসলে অন্যত্র নিয়ে গিয়েছিল সুকান্ত। পুলিশ চেপে ধরলে সে জানায়, মত্ত অবস্থায় কোথায় বৃদ্ধকে নামিয়েছে মনে নেই।
এ দিকে, পুলিশ যখন সুকান্তকে জেরা করছে তখনই শালিমারের এক নম্বর গেট সংলগ্ন নির্জন জায়গার নর্দমায় একটি থেঁতলানো পচাগলা দেহ পড়ে থাকার খবর আসে। গুণনিধির পরিজনেরা গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন।
পর পর সূত্র যোগ করে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ওই রাতে গুণনিধিকে মোটরবাইকে চাপিয়ে শালিমারের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সুকান্তই পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে, হাত-পা কেটে নৃশংস ভাবে খুন করেছে। শনিবার ধৃতকে আদালত আট দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে।