প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।
হিন্দু হস্টেলের সংস্কার-সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন চলছে সেখানকার আবাসিকদের। তার জেরে এ বার পাল্টে গেল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস-এর অফিসঘরই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাঁ দিকে একটি ঘরে আগে বসতেন ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণকুমার মাইতি। সোমবার থেকে আপাতত সেই পুরনো জায়গায় ফিরে এসেছেন তিনি।
হিন্দু হস্টেলের এক এবং দু’নম্বর ওয়ার্ড খুললেও এখনও খোলেনি তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড। অবিলম্বে ওই তিনটি ওয়ার্ড সংস্কারে হাত দিতে হবে, এই দাবি-সহ আরও চারটি দাবি নিয়ে আবাসিকদের অবস্থান চলছিল অরুণবাবুর অফিসের সামনে। সোমবার সেই অবস্থান পড়ল পাঁচ দিনে। এ দিন দেখা যায়, ডিন অব স্টুডেন্টস-এর ঘরের সামনের নাম-ফলক খুলে নেওয়া হচ্ছে। পুরনো অফিসে ফিরে আসা প্রসঙ্গে অরুণবাবু বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা আমার অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আমার ঘরের পাশেই বসেন রেজিস্ট্রার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার। বিক্ষোভের জন্য তাঁদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই আগের ঘরে ফিরে এলাম।’’
এ দিন হিন্দু হস্টেলের বিষয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। যদিও এক ছাত্রের দাবি, উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। অনুরাধাদেবী জানিয়েছেন, সরকারের টাকা এলেই হিন্দু হস্টেলের তিনটি ওয়ার্ডের কাজ শুরু হবে। কিন্তু কাজ শুরুর দিনক্ষণ বিষয়ে সদুত্তর তাঁর থেকে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার বোর্ডে কেন পড়ুয়াদের কোনও প্রতিনিধি নেই, তারও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি উপাচার্য।
এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অবস্থান চলবে। একই সঙ্গে উপাচার্যের ঘরের সামনে বসেও চলবে বিক্ষোভ।