গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ফের বেপরোয়া বাইক ধরতে গিয়ে নিগৃহীত হতে হল পুলিশকে। রাতের শহরে সোমবার পাঁচ পুলিশ কর্মীর উপর হামলা হয় পার্ক সার্কাসে। পরের রাত অর্থাৎ মঙ্গলবার ফের এক ট্রাফিক হোমগার্ডকে মোটর বাইক দিয়ে ধাক্কা মেরে পালালেন তিন বাইক আরোহী। ঘটনাটি ঘটেছে চারু মার্কেট থানা এলাকার টালিগঞ্জ ফাঁড়িতে।
হেলমেটহীন, বেআইনি ভাবে চালানো বেপরোয়া বাইক চালকদের বিরুদ্ধে চলা লাগাতার অভিযানের অংশ হিসাবেই টালিগঞ্জ ফাঁড়িতে ওই রাতে নাকা চেকিং করছিল চারু মার্কেট থানা এবং ট্রাফিক গার্ডের যৌথ বাহিনী। নাকার দায়িত্বে ছিলেন টালিগঞ্জ ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট অলোকেশ নস্কর।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১২টা নাগাদ দেশপ্রাণ শাসমল রোড ধরে ধর্মতলার দিক থেকে একটি বাইক আসছিল। পুলিশ কর্মীরা দেখেন বাইকের চালক এবং পিছনের দুই আরোহী— কারও মাথাতেই হেলমেট নেই। তাঁরা বাইকটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে প্রথমে সেটি পুলিশ কর্মীদের এড়িয়ে যেতে গতি বাড়িয়ে দেয়। তখন ট্রাফিকের হোমগার্ড প্রতাপ রায় বাইকটির সামনে দাঁড়িয়ে সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাইকের চালক গতি আরও বাড়িয়ে দিয়ে প্রতাপবাবুকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। রাস্তায় পড়ে হাতে এবং পায়ে আঘাত পান প্রতাপবাবু।
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ইভটিজিংয়ের শিকার মহিলারা, দু’টি ঘটনায় গ্রেফতার তিন
ফের মেট্রোর দরজায় হাত, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
চারু মার্কেট থানা সূত্রে খবর, এর পরেই রাস্তায় থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দ্রুত ওই বাইকের নম্বরটি চিহ্নিত করেন পুলিশকর্মীরা। চারু মার্কেট থানার পুলিশ বাইক আরোহীদেরও এক জনকে চিনতে পারেন। সেই সূত্র ধরেই রাতেই প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ডেরা থেকে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহান নামে বাইক চালককে। পাকড়াও করা হয় বাইকের আরও দুই আরোহীকেও। ডিসি (দক্ষিণ) মীরাজ খালিদ বলেন, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে মানুষের জীবন বিপন্ন করে বেপরোয়া বাইক চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে আঘাত করার জন্য জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনা, কলকাতার আবহাওয়া, কলকাতার হালচাল জানতে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)