দুর্ঘটনা রোধে নানা রকম পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। চলছে সচেতনতার প্রচারও।
কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না অনেকেরই। ফের সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম আবদুল রউফ মোল্লা (৪৪)।
বুধবার ভোরে নিউ টাউন যাওয়ার পথে নবদিগন্ত উড়ালপুলের ওঠার আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় মাছ নিয়ে যাওয়ার একটি টাটা ৪০৭ গাড়ি। তার তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় গাড়িতে থাকা এক ব্যক্তির। পুলিশ জেনেছে, মাছ বিক্রি করে নলবন ভেড়ি এলাকা থেকে গাড়িটি নিউ টাউনের দিকে যাচ্ছিল। চালক ও তাঁর পাশে বসা এক ব্যক্তি ছাড়া তাতে ছিলেন আরও কয়েক জন। ভোর সাড়ে ছ’টা নাগাদ নবদিগন্ত উড়ালপুলে ওঠার আগে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের কথায়, তীব্র গতিতে যাচ্ছিল গাড়িটি। উড়ালপুলে ওঠার আগে আগে আচমকাই সেটি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে বাঁ দিকে হেলে পড়ে যায়। গাড়ির নীচে চাপা পড়েন এক ব্যক্তি। আর যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অবশ্য সকলেই তখন পালিয়ে যান। পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
গত বছর ডিসেম্বরে এই একই জায়গায় মৃত্যু হয়েছিল এক শিক্ষকের। তার পরে চালকদের সতর্ক ও সচেতন করতে ব্যবস্থা নিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। উড়ালপুলে ওঠার আগেই সাইনবোর্ডে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়, স্পিড ব্রেকার বসানো হয় বহু জায়গায়। এমনকী চালকদের সচেতন করতে পুলিশের তরফে প্রশিক্ষণ শিবিরও করা হয়েছে।
কিন্তু তার পরেও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিশেষ করে ভোরের দিকে রাস্তা খালি থাকায় পণ্য পরিবহণকারী টাটা ৪০৭ জাতীয় গাড়িগুলি তীব্র গতিতে চালানোর প্রবণতা দেখা যায় ওই এলাকায়। প্রায়ই দেখা যায় তীব্র গতিতে এয়ারহর্ন টানা বাজাতে বাজাতে ছুটছে মিনিট্রাক জাতীয় গাড়িগুলি। অনেক ক্ষেত্রেই সিগন্যালও মানেন না চালকেরা। বিধাননগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চালকদের সচেতন করার কাজে আরও জোর দেওয়া হবে।